সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
Published : 18 Jan 2024, 06:34 PM
সম্ভাবনার ঢালি সাজিয়ে নিউ জিল্যান্ড দলে এসেছিলেন হামিশ রাদারফোর্ড। টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করে কেড়েছিলেন সবার নজর। কিন্তু এরপর আর লম্বা হয়নি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ রাদারফোর্ড এবার সবকিছুর ইতি টানার ঘোষণা দিলেন।
৩৪ বছর বয়সী এই ওপেনার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি লিগ সুপার স্ম্যাশে আগামী মঙ্গলবার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ওটাগোর হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলবেন তিনি।
“ওটাগোর হয়ে খেলা এবং আইকনিক প্রদেশটির অংশ হতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলা সবসময়ই স্বপ্ন ছিল। ক্রিকেট আমাকে ও আমার পরিবারকে সেই সুযোগ দিয়েছে, যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই অধ্যায়ের প্রতিটা মিনিট আমি উপভোগ করেছি। পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ, কোচ এবং সমর্থকদের কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি, আমি কৃতজ্ঞ।”
২০১৩ সালে তিন সংস্করণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় রাদারফোর্ডের। ডানেডিনে টেস্ট অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭১ রানের ইনিংস খেলে চমক দেখান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, যা নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
আর সব দেশ মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে ওপেনারদের মধ্যে ক্যারিয়ারে প্রথম ম্যাচে রাদারফোর্ডের ১৭১ রান চতুর্থ সর্বোচ্চ।
এরপর আর নিজের প্রতিভা দেখাতে পারেনি রাদারফোর্ড। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থেকে ২০১৫ সালে ১৬ টেস্টেই থেমে যায় তার এই সংস্করণে পথচলা। একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৭৫৫ রান করেন তিনি ২৬.৯৬ গড়ে।
দেশের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন তিনি ২০১৯ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণে ৮ ম্যাচে ১ ফিফটিতে তার রান ১৫১। ৪ ওয়ানডের সবশেষটি খেলেছিলেন ২০১৩ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে। এই সংস্করণে পুরোপুরিই ব্যর্থ তিনি, রান কেবল ১৫।
২০০৮ সালে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন রাদারফোর্ড। এই সংস্করণে ১৩০ ম্যাচ খেলে ৩৫.২৬ গড়ে তার রান ৭ হাজার ৮৬৩। সেঞ্চুরি ১৭টি, ফিফটি ৪০টি।
১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে রাদারফোর্ডের রান ৪ হাজার ৩২৬, ৩৭.৬১ গড়ে; সেঞ্চুরি ১৩টি ও ফিফটি ১৯টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১৯২ ম্যাচ খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ১৮ ফিফটিতে করেছেন ৪ হাজার ২৭৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১৪১.৫০।
জাতীয় দলে সুযোগ না হলেও ওটাগো দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন রাদারফোর্ড। দলটির হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড তার। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় আছেন তৃতীয় স্থানে।
রাদারফোর্ডের শেষ ম্যাচে তাকে বিশেষভাবে সম্মান জানাবে তার দল ওটাগো ক্রিকেট।