হোম
+
টানা পাঁচ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে হারল সাকিব আল হাসানের দল।
Published : 31 Mar 2023, 01:38 PM
টানা দুটি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ব্যবধানে জেতার সুযোগ সাকিব আল হাসানের দলের সামনে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বেলা ২টায়।
প্রথম দুই ম্যাচ অনায়াসে জেতা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি অর্জনের হাতছানিও আছে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের টি-টোয়েন্টিতে টানা ছয় ম্যাচ জেতার সুযোগ লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে। এবারের আগে কেবল একটা টানা চারটি ম্যাচ জিততে পেরেছিল তারা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অবশেষে টস জিতল বাংলাদেশ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব আল হাসান। আগের দুই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব।
"আগের দুই ম্যাচে আমরা আগে ব্যাট করেছি এবং ভালো করেছি। কেন সেটি ধরে রাখব না!"
আগে বোলিং পাওয়ায় সুবিধা দেখছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং।
"এটি ব্যবহৃত উইকেট। দেখা যাক কেমন আচরণ করে। আমরা আগ দেখতে পাব এবং এরপর সেভাবে ব্যাট করার চেষ্টা করব।"
তৃতীয় ম্যাচের একাদশে জোড়া পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। অভিষেক হয়েছে রিশাদ হোসেনের। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৮০তম ক্রিকেটার ২০ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার।
এছাড়া গত বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। গত ম্যাচের একাদশ থেকে নেই মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, রনি তালুকদার, তাওহিদ হৃদয়।
শেষ ম্যাচের একাদশে স্পিনে শক্তি বাড়াল আয়ারল্যান্ড। সফরে এখন পর্যন্ত দারুণ বোলিং করা ডানহাতি পেসার গ্রাহাম হিউমের জায়গায় অভিষেক হলো ম্যাথু হামফ্রেজের। এই সংস্করণে আয়ারল্যান্ডের ৫৮তম ক্রিকেটার বাঁহাতি এই স্পিনার।
একাদশে এই একটি পরিবর্তনই এনেছে আইরিশরা।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, ম্যাথু হামফ্রেজ, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ফিওন হ্যান্ড।
ম্যাচের প্রথম বলে চমৎকার ফ্লিকে চার মেরে শুরু করেন লিটন দাস। তার মতো মুখোমুখি প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন রনি তালুকদারও।
ফিওন হ্যান্ডের বল অবশ্য ঠিক মতো খেলতে পারেননি রনি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় গালিতে ক্যাচের মতো দিয়েছিলেন তিনি। একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি ফিল্ডার। ব্যাটসম্যান পেয়ে যান চার।
১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯/০।
৩ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ। লিটন দাসের পর ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরের স্পিন করে ভেতরে ঢোকা বলে স্লগ সুইপ করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ডিপ মিডউইকেটে দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্যাচ নেন কার্টিস ক্যাম্পার।
৮ বলে শান্ত করেন ৪ রান।
৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৮। ক্রিজে রনি তালুকদারের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
চার ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর মতো বড় শট খেলার চেষ্টায় ফিরে গেলেন রনি তালুকদারও।
পরপর দুই ওভারে দুই সঙ্গীকে হারালেও নিজের মতো করেই খেলছিলেন রনি। নিচ্ছিলেন ঝুঁকি। সেটাই কাল হলো। কার্টিস ক্যাম্পারকে তুলে মারতে গিয়ে তিনি ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়লেন রনি।
১০ ওভারে তিন চারে ১৪ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার।
৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৪। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
আগের ওভারে ব্যাটের কানায় লাগলেও কিপারের পাশ দিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। পরের ওভারে আপাত সাদামাটা এক ডেলিভারিতে মিডউইকেটে ধরা পড়লেন সাকিব আল হাসান।
মার্ক অ্যাডায়ারের বল লেগে যেকোনো জায়গায় পাঠাতে পারতেন সাকিব। পেতে পারতেন ছক্কাও। বিস্ময়করভাবে সেই বলে বন হোয়াইটের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৬ বলে ১ চারে ৬ রান করেন সাকিব।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪১। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী শামীম হোসেন।
৮ ম্যাচ পর পাওয়ার প্লেতে দুইয়ের বেশি উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
নিয়মিত উইকেট হারালেও ঝুঁকি নিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এর মাশুলও দিতে হচ্ছে স্বাগতিকদের। সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন তাওহিদ হৃদয়।
লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটের বল সজোরে লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। টাইমিং একেবারেই হয়নি, মাঝ ব্যাটেও খেলতে পারেননি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন হ্যারি টেক্টর।
১০ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে হৃদয় করেন ১২ রান।
হোয়াইটকে দারুণ শটে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৪৭। ক্রিজে রিশাদের সঙ্গী শামীম হোসেন।
প্রথম বলেই উইকেট পেলেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রেজ। স্টাম্প তাক করে করা এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন রিশাদ হোসেনকে। এক বল পর তাসকিন আহমেদকেও বিদায় করলেন হামফ্রেজ।
অনেকটা ইয়র্কার লেংথের বলের লাইনে যেতে পারেননি রিশাদ। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।
ছক্কায় শুরু করে ৭ বলে ৮ রান করেন রিশাদ।
অন্য সতীর্থদের মতো তাসকিনও ফেরেন ছক্কার চেষ্টায়। স্লগ সুইপ করে ডিপ মিডউইকেটে তিনি ধরা পড়েন কার্টিস ক্যাম্পারের হাতে।
নিয়মিত উইকেট হারিয়ে মাঝপথে মহাবিপদে বাংলাদেশ।
১০ ওভারে স্বাগতিকদের রান ৭ উইকেটে ৬৩। ক্রিজে শামীম হোসেনের সঙ্গী নাসুম আহমেদ।
আক্রমণে এসেই সাফল্য পেলেন গ্যারেথ ডেল্যানি। এই লেগ স্পিনারের নিচু ফুলটস বলে এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ দিলেন নাসুম আহমেদ। ভাঙল ৩৪ বলে ৩৩ রানের জুটি।
১৭ বলে এক চারে ১৩ রান করেন নাসুম।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১০১। ক্রিজে শামীম হোসেনের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
পুরো ২০ ওভার খেলা নিয়ে শঙ্কা আরও বাড়ল। সপ্তদশ ওভারে নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে সজোরো মারতে চেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লরকান টাকারের গ্লাভসে।
৫ বলে শরিফুল করেন ৫ রান।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১০৪।
ক্রিজে শামীম হোসেনের সঙ্গী হাসান মাহমুদ।
দলের ভীষণ বাজে অবস্থায় নেমে লড়াকু এক ফিফটি করলেন শামীম হোসেন। দলকে এনে দিলেন মোটামুটি একটা সংগ্রহ।
মার্ক অ্যাডায়ারকে ছক্কার পর চার মেরে ৪০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে পৌঁছান শামীম।
৪১ বলে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে তার রান ৫১।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১২৩।
৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদ পড়ে বাংলাদেশকে টানলেন শামীম হোসেন। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে করলেন লড়াকু এক ফিফটি।
শেষ ওভারে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে শামীম করলেন ৫১ রান। তার ৪২ বলের ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে।
ফিওন হ্যান্ডকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের পথ চলা। একই সঙ্গে চার বল বাকি থাকতেই থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আয়ারল্যান্ডের সাত বোলারের সবাই নেন অন্তত একটি করে উইকেট। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার মার্ক অ্যাডায়ার। ১০ রানে ২ উইকেট নেন অভিষিক্ত ম্যাথু হামফ্রেজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১২৪ (লিটন ৫, রনি ১৪, শান্ত ৪, সাকিব ৬, হৃদয় ১২, শামীম ৫১, রিশাদ ৮, তাসকিন ০, নাসুম ১৩, শরিফুল ৫, হাসান ২*; হ্যান্ড ২.২-০-১৫-১, অ্যাডায়ার ৪-০-২৫-৩, টেক্টর ৪-০-২৮-১, ক্যাম্পার ৪-০২৩-১, হোয়াইট ২-০-১৫-১, হামফ্রেজ ২-০-১০-১, ডেল্যানি ১-০-৭-১)
মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে ফিরে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন শরিফুল ইসলাম। বিদায় করে দিলেন লরকান টাকারকে।
বাঁহাতি পেসারের বেরিয়ে যাওয়া বলে চড়াও হতে চেয়েছিলেনএই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের ছুঁয়ে ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভসে জমান লিটন দাস।
৭ বলে টাকার করেন ৪ রান।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড। ৬ ওভারে সফরকারীদের রান ২ উইকেটে ৪৭। ক্রিজে পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গী হ্যারি টেক্টর।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পল স্টার্লিং। বিস্ফোরক এই ওপেনারের ফিফটিতে ছুটছে আয়ারল্যান্ড।
১০ ওভারে আইরিশদের স্কোর ২ উইকেটে ৭৭। শেষ ১০ ওভারে আর কেবল ৪৮ রান চাই সফরকারীদের।
৩১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন স্টার্লিং। তার ঝড়ো ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও সাত চারে। ১৩ বলে ১১ রানে খেলছেন হ্যারি টেক্টর।
ছক্কার পর টানা তিনটি চার মারলেন পল স্টার্লিং। শরিফুল ইসলামের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে পুরোপুরি মুঠোয় নিলে গেলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক।
এই ওভারেই ৩২ বলে হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে স্টার্লিংয়ের জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ।
১১ ওভারে আয়ারল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৯৭।৩৬ বলে তিন ছক্কা ও ১০ চারে ৬৯ রানে খেলছেন স্টার্লিং। ১৪ বলে এক চারে টেক্টরের রান ১১।
অভিষেকে নিজের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেট পেলেন রিশাদ হোসেন। তার বলে লং অনে চমৎকার ক্যাচ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভাঙল ৪২ বল স্থায়ী ৬৮ রানের জুটি।
অফ স্টাম্পে থাকা ডেলিভারি ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি তিনি। বেশ উঁচুতে ওঠে যাওয়া ক্যাচ নেন শান্ত।
৪১ বলে ১০ চার ও চার ছক্কায় ৭৭ রান করেন স্টার্লিং।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আগের দুই ম্যাচে দুইশ ছোঁয়া সংগ্রহ গড়া বাংলাদেশ এবার দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। বড় শট খেলে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কোনোমতে পার হতে পারল ১২০। এই রান নিয়ে লড়াইও করতে পারল না তারা। পল স্টার্লিংয়ের বিস্ফোরক এক ইনিংসে ৩৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এটাই তাদের প্রথম জয়।
সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল সাকিব আল হাসানের দল। হাতছানি ছিল টানা ষষ্ঠ জয় ও দ্বিতীয় সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার। সেটা পারেনি স্বাগতিকরা।
৪১ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে ফেরেন স্টার্লিং। বাকিটা সারেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১২৪ (লিটন ৫, রনি ১৪, শান্ত ৪, সাকিব ৬, হৃদয় ১২, শামীম ৫১, রিশাদ ৮, তাসকিন ০, নাসুম ১৩, শরিফুল ৫, হাসান ২*; হ্যান্ড ২.২-০-১৫-১, মার্ক অ্যাডায়ার ৪-০-২৫-৩, টেক্টর ৪-০-২৮-১, ক্যাম্পার ৪-০২৩-১, হোয়াইট ২-০-১৫-১, হামফ্রেজ ২-০-১০-১, ডেল্যানি ১-০-৭-১)
আয়ারল্যান্ড: ১৪ ওভারে ১২৬/৩ (স্টার্লিং ৭৭, রস অ্যাডায়ার ৭, টাকার ৪, টেক্টর ১৪*, ক্যাম্পার ১৬*; তাসকিন ৪-০-২৮-১, সাকিব ২-০-১৫-০, হাসান ২-০-২৬-০, শরিফুল ২-০-২৫-১, নাসুম ১-০-১২-০, রিশাদ ৩-০-১৯-১)
