নেপালের তারকা লেগ স্পিনারকে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।
Published : 10 Jan 2024, 05:53 PM
বড় শাস্তি পেয়েছেন সন্দিপ লামিছানে। ধর্ষণ মামলায় নেপালের এই তারকা লেগ স্পিনারকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কাঠমান্ডুর একটি আদালত।
নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘দা কাঠমান্ডু পোস্ট’ এর বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, লামিছানেকে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আলাদত।
মামলা দায়েরের ১৫ মাস পর এলো শাস্তির এই রায়। লামিছানের আইনজীবী সারোজ ঘিমির জানান, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।
গত ২৯ ডিসেম্বর লামিছানেকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেদিন মাঠে ছিলেন তিনি, নেপালের একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নেপাল আর্মি ক্লাবের বিপক্ষে পার্সা ক্লাব একাদশের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।
শুরুতে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভুক্তভোগী একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে আদালতের রায়ে বলা হয়, ঘটনার সময় তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন।
২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ তুলে লামিছানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরদিনই সেই সময়ের নেপাল অধিনায়কের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন তিনি।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরপরই জরুরি সভা ডেকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল লামিছানেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আইনি লড়াইয়ে নামার কথা জানিয়ে লামিছানে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন পরের মাসে। তার কদিন পর ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাকে গেপ্তার করা হয়।
জবানবন্দিতে ওই ভুক্তভোগী পুলিশকে বলেন, লামিছানে তাকে দুবার ধর্ষণ করেন। স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগের সূত্রে তাদের পরিচয় হয়েছিল। লামিছানে তাকে জোর করে নাগারকোটে একটি হোটেলে নিয়ে যান বলেও জবানবন্দিতে বলেন তিনি।
আর লামিছানে পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ওই কিশোরীর ইচ্ছায় তাকে নাগারকোটে নিয়ে যান তিনি। আর মেয়েটির বয়স ১৭ নয়, ১৯ বছর।
জামিন পাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে লামিছানেকে ঘরের মাঠে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে রাখে নেপাল। যা নিয়ে নেপালের অনেকের মাঝেই ছিল অসন্তোষ। ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে ক্যাম্পে বিক্ষোভও করেন তারা।
সিরিজের সময় লামিছানেকে দলে ফেরানোর নীরব প্রতিবাদ জানায় সফরকারী দল দুটিও। নেপালের সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ম্যাচ শেষে হাত মেলালেও অভিযুক্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলাননি স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার ক্রিকেটাররা।
নেপাল ক্রিকেটের উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন হিসেবে গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে পরিচিত করেছেন লামিছানে। দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় (আইপিএল থেকে শুরু করে বিগ ব্যাশ, সিপিএল, বিপিএল, এলপিএল) খেলা নেপালের একমাত্র ক্রিকেটার তিনি।