রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ভিরাট কোহলি বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি এখনও খেলতে পারি’
Published : 26 Mar 2024, 12:31 PM
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ভিরাট কোহলির জায়গা কি এখনও প্রাপ্য? এই প্রশ্ন বা সংশয় আছে অনেকের। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যখন সেখানে আয়োজন করা হচ্ছে বিশ্বকাপ, বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাকেও তো এই আসরে প্রয়োজন! এসব নিয়েই ধারাভাষ্যে আলোচনা করছিলেন কেভিন পিটারসেন ও রাভি শাস্ত্রি। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর সেদিকে ইঙ্গিত করেই উত্তর দিলেন কোহরি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে ভারতের হয়ে দীর্ঘদিন দেখা যায়নি কোহলিকে। এবার আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ রেখেই তাকে ফেরানো হয় দলে। জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই সিরিজের এক ম্যাচে ১৬ বলে ২৯ রান করে তিনি। পরের ম্যাচে আউট হয়ে যান প্রথম বলেই।
ভারতীয় ক্রিকেটে যত তরুণ প্রতিভা উঠে আসছে, তাতে এই সংস্করণে রোহিত শার্মা, কোহলিদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এবারের আইপিএলে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর হয়তো নির্ভর করবে অনেক কিছুই।
আইপিএলে রোববার গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ভারতের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ দল নিয়ে কথা বলছিলেন পিটারসেন ও শাস্ত্রি। নানা আলোচনার ফাঁকে পিটারসেন এক পর্যায়ে বলেন, “বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত খেলবে নিউ ইয়র্কে। খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হলেও ভিরাট কোহলির মতো একজনকে সেখানে প্রয়োজন।”
তবে পিটারসেনের সেই ভাবনার সঙ্গে ঠিক একমত নন বলে জানান শাস্ত্রি।
“স্রেফ খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপার এখানে নয়। যখন ছড়িয়ে যাওয়ার সময় হবে, খেলা ছড়িয়ে পড়বেই। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, অতীতের কিছু যেন বয়ে আনা না হয়। ভারত তো তরুণ দল নিয়ে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই তারুণ্য, সেই ঔজ্জ্বল্য, সেই দাপট দলে প্রয়োজন।”
পরদিনই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওপেন করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে তিনি ছিলেন দারুণ আগ্রাসী। পরে আরেকপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারানোয় নিজেকে একটু সামলে গড়ে তোলেন ইনিংস। ১১ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসটি তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি।
এমন ইনিংস খেলার পুরস্কার বিতরণীয় আয়োজনে শাস্ত্রি-পিটারসেনের সেই কথোপকথনের দিকে ইঙ্গিত করে হাসতে হাসতে কোহলি বললেন, “আমি জানি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার নাম ইদানিং যুক্ত করা হচ্ছে স্রেফ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেটকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। তবে আমার মনে হয়, এখনও আমি খেলতে পারি!।”
পাঞ্জাবের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র কাগিসো রাবাদার প্রথম বলেই এ দিন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে চার মেরেছেন কোহলি। চোখধাঁধানো সব শট খেলেছেন ইনিংসজুড়েই। সময়ের সঙ্গে তাল রাখতে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসেও নতুন কিছু যোগ করছেন খেলায়, বললেন তিনি।
“এটা করে যেতেই হবে (খেলায় নতুন কিছু যোগ করা)। সবাই জানে, কাভার ড্রাইভ আমি বেশ ভালো খেলি। কাজেই ওই সুযোগ বা ফাঁকটুকু বোলাররা আমাকে দেবে না। কেজি (রাবাদা) এবং আর্শদিপের মতো লম্বা বোলাররা, তারা যখন লেংথে হিট করবে, তখন বলের দিকে কিছুটা মোমেন্টাম তৈরি করে নিতেই হবে ব্যাটসম্যানকে। বলের কাছাকাছি যেতে পারলে সম্ভাব্য বাউন্সটা সামলানো যায়। একটু আগেই বলের মোকাবেলা করা যায়।”
“কাজেই সবকিছুর জন্য কিছু পরিকল্পনা রাখতে হয় এবং নিজের খেলায় সবসময় উন্নতি করে যেতে হয়।”
দারুণ খেলেও অবশ্য কাজ শেষ করতে পারেননি কোহলি। তিনি আউট হয়ে যান ষষ্ঠদশ ওভারে। চার ওভারে তখনও ৪৭ রান লাগে বেঙ্গালুরুর। তবে দিনেশ কার্তিকের ১০ বলে ২৮ ও ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়াল’ মাহিপাল লমররের ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে চার বল বাকি রেখে জেতে দল।