একসময় তিনি গড়েছিলেন আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটারের রেকর্ড, আরও দুই দফায় নিলামে পেয়েছেন মোটা অঙ্ক, কিন্তু এখন আইপিএল থেকে দূরে আছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক।
Published : 27 Nov 2024, 03:20 PM
একসময় আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়েছিলেন বেন স্টোকস। আইপিএলের নিলামে ঝড় তুলেছেন তিনি আরও দুই দফায়। সেই তিনিই এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে অনেক দূরে। সেটির কারণ এবার খোলাসা করলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক। দেশের হয়ে যত বেশি দিন সম্ভব খেলার জন্য নিজের শরীরকে পোক্ত রাখতে চান এই অলরাউন্ডার।
আইপিএলে স্টোকসের প্রথমবার পা পড়ে ২০১৭ আসর দিয়ে। সেবার সাড়ে ১৪ কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস। সেই সময় যা ছিল বিদেশি ক্রিকেটারের পারিশ্রমিকের রেকর্ড। স্টোকস প্রতিদান দেন পারফরম্যান্স দিয়ে। ফাইনালে নাটকীয়ভাবে ১ রানে হেরে রানার্স আপ হয় পুনে। তবে প্রায় ১৪৩ স্ট্রাইক রেট ৩১৬ রান করে ও ১২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হন স্টোকস।
পরে তাকে এক দফায় সাড়ে ১২ কোটি রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস, আরেকবার ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৮ আসর ছাড়া অবশ্য চোটের কারণে পুরো আসর খেলতে পারেননি তিনি একবারও। চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে ২০২১ সালের পর তাকে দেখা যায়নি এই টুর্নামেন্টে। গত আসরেও তিনি খেলেননি ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের’ জন্য।
এবার মেগা নিলামও তিনি নাম দেননি। আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মেগা নিলামে নাম নিবন্ধন না করলে পরের আসরেও অংশ নিতে দেওয়া হবে না বিদেশি ক্রিকেটারদের। তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত অন্তত আইপিএলে স্টোকসকে দেখা যাবে না।
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলেন না স্টোকস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তো সবশেষ খেলেছন দুই বছর আগে। আইপিএলের নিলামে হয়তো আগের মতো ঝড় তিনি তুলতে পারতেন না। তবে তার অভিজ্ঞতা, ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ও অলরাউন্ড সামর্থ্য মিলিয়ে তার দিকে নজর থাকতে পারত দলগুলির।
তবে তার ভাবনায় আপাতত শুধুই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা। গত এক-দেড় বছরে চোটের কারণে অনেক ভুগতে হয়েছে তাকে। মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে লম্বা সময়। অনেক ম্যাচে খেললেও বোলিং করতে পারেননি। ৩৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বিবিসিকে বললেন, দেশের হয়ে খেলার জন্য নিজের শরীরকে তৈরি রাখতে চান তিনি।
“এত বেশি ক্রিকেট আছে সামনে… এটা আড়াল করার কোনো ব্যাপার নয় যে, আমি ক্যারিয়ারের শেষ দিকে চলে এসেছি। অবশ্যই চাই, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে। সেই পথে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের শরীরের দেখভাল করা ও নিজের খেয়াল রাখা।”
সামনে এসএ টোয়েন্টিতে অবশ্য খেলবেন তিনি। তবে যেখানে টুর্নামেন্টের সময়, চাপ, ভ্রমণ, ওয়ার্কলোড, সবই অনেক কম। আইপিএল থেকে তিনি আপাতত দূরে থাকতে চান দেশের হয়ে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে।
“এখানে ব্যাপারটি হলো, কোন খেলাগুলোকে প্রাধান্য দেব ও কখন কোথায় খেলব। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলব সামনে… সব মিলিয়ে সামনে কী কী আছে এবং ক্যারিয়ার যতটা সম্ভব দীর্ঘ করতে কী করা উচিত আমার, সেই সিদ্ধাই গুরুত্বপূর্ণ। যতদিন সম্ভব ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে চাপাতে চাই আমি।”