Published : 18 Dec 2024, 08:41 AM
লাল বলের ক্রিকেটে সম্প্রতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে মিচেল স্যান্টনারের। নিজের সবশেষ দুই টেস্টেই হয়েছেন ম্যান অব দা ম্যাচ। এবার বড় সুখবর পেলেন তিনি অন্য দুই সংস্করণে। সাদা বলের ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক এই অলরাউন্ডার।
অধিনায়কত্ব অবশ্য তার জন্য নতুন নয়। নিউ জিল্যান্ডের সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে গত মাসে শ্রীলঙ্কায় অধিনায়ক ছিলেন তিনিই। এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ টি-টোয়েন্টি ও ৪ ওয়ানডেতে তিনি টস করেছেন দেশের হয়ে। তবে সবই ছিল ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে। পূর্ণকালীন দায়িত্ব পেলেন তিনি প্রথমবার।
গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর নিউ জিল্যান্ডের রঙিন পোশাকের দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কেন উইলিয়ামসন। তার জায়গায় টম ল্যাথাম দায়িত্ব পাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। নানা সময়ের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ৪৪ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ সফল ছিলেন তিনি।
তবে এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট দলের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসে। টিম সাউদির জায়গায় দায়িত্ব পান ল্যাথাম। তার ওপর তাই অন্য দুই সংস্করণের ভার চাপাতে চায়নি নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। এখানে বেছে নেওয়া হলো স্যান্টনারকে।
নেতৃত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সতীর্থদের সঙ্গী করে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান আরও সাফল্যের পথে।
“এই দায়িত্ব পাওয়া অবশ্য বড় এক সম্মান ও বিশেষ কিছু। ছেলেবেলায় সবসময়ই স্বপ্ন ছিল নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলার। তবে দুটি সংস্করণে আমার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পাওয়া অবশ্যই স্পেশাল।”
“এটা নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সাদা বলের ক্রিকেটে সামনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টায় এগিয়ে যেতে আমি রোমাঞ্চিত। সময়টা অবশ্যই একটু পালাবদলের, আমাদের বেশ কজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে আছেন। তবে দলের অন্যদের জন্য ও তরুণদের জন্য এটিই সুযোগ দলকে আরও সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়ার।”
ল্যাথামের টেস্ট দলের দায়িত্বকে উল্লেখ করে স্যান্টনারের সামর্থ্যে আস্থার কথা জানালেন কোচ ও নির্বাচক গ্যারি স্টেড।
“টম ল্যাথামের মতো সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন অধিনায়ক আমাদের আছে, যে তিন সংস্করণেই প্রশংসনীয়ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। গত অক্টোবরে টেস্ট দলের পূর্ণকালীন অধিনায়কত্ব পেয়ে টম দারুণ করছে এবং আমরা চাই, সে যেন এখানেই সবটুকু মনোযোগ দিতে পারে। কারণ, এই দায়িত্বে যথেষ্ট পরিমাণে সময় ও প্রাণশক্তির প্রয়োজন।”
“মিচ (স্যান্টনার) বরাবরই দারুণ এক টিম ম্যান এবং খেলাটির সব দিকে উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দেয়। অবিশ্বাস্যরকমের সুস্থির ও গোছানো এক ব্যক্তিত্ব সে, ড্রেসিং রুমে তার প্রতি আছে প্রবল সম্মান, যেটা তার জন্য খুব সহায়ক হবে। টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা তার আছে, গত মাসে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বেও ভালো কাজ করেছে। দলকে নেতৃত্ব দিতে কী করতে হয়, এটার ভালো জানাশোনা তার আছে। আমি নিশ্চিত, এই দায়িত্বে মিচ নিজস্ব ধারনা ও ঘরানা বয়ে আনবে।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে পাকাপাকি অধিনায়ক হিসেবে স্যান্টনারের পথচলা। তিন টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের সিরিজটি শুরু ২৮ ডিসেম্বর।