বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৩৯।
Published : 19 Sep 2024, 09:38 AM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৮০ ওভারে ৩৩৯/৬
অশ্বিন-জাদেজার বড় জুটিতে ভারতের দাপট
প্রথম দুই সেশনের সুখস্মৃতি আর শেষটিতে বয়ে নিতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো পাল্টা আক্রমণে সফরকারীদের চাপে ফেলে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।
ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন অশ্বিন। তিন অঙ্কের কাছে লম্বা সময় আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সৌজন্যে ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া জাদেজাও।
দুজনের ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটির সৌজন্যে প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৩৯ রান। চা বিরতির পর ৩২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬৩ রান করেছে স্বাগতিকরা।
অথচ টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর প্রথম দুই সেশনে পুরো দাপট ছিল বাংলাদেশের। মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে রোহিত শার্মা, শুবমান গিল ও ভিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর রিশাভ পান্তকে আউট করে ৬২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিও ভাঙেন হাসান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি করেন জয়সওয়াল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটির ইতি টানেন নাহিদ রানা। ৫৬ করে ফেরেন জয়সওয়াল।
পরের ওভারে রাহুলকেও ফিরিয়ে ভারতের স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানের বিদায় নিশ্চিত করে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু এরপর আর সাফল্যের দেখা নেই বাংলাদেশের। ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলতে থাকেন অশ্বিন ও জাদেজা।
এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন অশ্বিন। জাদেজার সামনে পঞ্চম সেঞ্চুরির হাতছানি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি প্রাসান্না জায়াবার্ধেনে ও চামিন্দা ভাসের ২২৩ রান। সেই রেকর্ডও নিজেদের করার সুযোগ অশ্বিন, জাদেজার সামনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৮০ ওভারে ৩৩৯/৬ (জয়সওয়াল ৩৯, রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ৬, পান্ত ৩৯, রাহুল ১৬, জাদেজা ৮৬*, অশ্বিন ১০২*; তাসকিন ১৫-১-৪৭-০, হাসান ১৮-৪-৫৮-৪, নাহিদ ১৭-২-৮০-১, মিরাজ ২১-২-৭৭-১, সাকিব ৮-০-৫০-০, মুমিনুল ১-০-৪-০)
অশ্বিনের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি
দলকে চাপ থেকে উদ্ধার করে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার পাশাপাশি দারুণ সেঞ্চুরি করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১০ চার ও ২ ছক্কায় মাত্র ১০৮ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক পূর্ণ করেন তিনি।
একই মাঠে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন অশ্বিন।
৭৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৩৪ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ১০৯ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৯০ রান।
ভারতের তিনশ, অশ্বিন-জাদেজার রেকর্ড
থিতু হয়ে যাওয়ার পর এখন স্বাচ্ছন্দ্যে রান করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এরই মধ্যে তিনশ পূর্ণ করে ফেলেছে ভারত। সপ্তম উইকেটে রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন জাদেজা ও অশ্বিন।
৭৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০৩ রান। অশ্বিন ৯৭ বলে ৮৮ ও জাদেজা ৯০ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ১৮৫ বলে ১৫৯ রান।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে সপ্তম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৮ রান যোগ করেছিলেন জাদেজা ও কারুন নায়ার।
জাদেজার ফিফটি
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে চমৎকার জুটিতে ভারতকে এগিয়ে নিচ্ছেন রবীন্দ্র জাদেজা। সপ্তম উইকেটে শতরানের জুটি পূর্ণ হওয়ার পর নিজের পঞ্চাশ করলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
৫ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ বলে ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি করেন জাদেজা।
৬৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬৮ রান। জাদেজা ৭৬ বলে ৫১ ও অশ্বিন ৮১ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৩১ রান।
অশ্বিন-জাদেজা জুটির একশ
চাপ সামলে ওয়ানডে স্টাইলে রান করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে মাত্র ১১৪ বলে তারা পূর্ণ করেছেন জুটির একশ রান।
৬৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫৬ রান। জাদেজা ৫৯ বলে ৪৩ ও অশ্বিন ৬৮ বলে ৬৪ রান। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১১২ রান।
অশ্বিনের চমৎকার ফিফটি
লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পর মাঠ ছাড়ার আগেই গ্যালারির দর্শকদের চিৎকার শুরু। কিছুটা যেন ভড়কেই গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হয়তো বুঝতে পারছিলেন না, ভারতের উইকেট পড়ার পরও ভারতীয় দর্শকরা কেন উল্লাস করছে। পরমুহূর্তেই বোঝা যায়, ঘরের ছেলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন মাঠে ঢোকার কারণেই এমন উচ্ছ্বাস।
দর্শকদের হতাশ করেননি অশ্বিন। চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণে দারুণ ফিফটি করলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। মাত্র ৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় তিনি স্পর্শ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি।
৬০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৩৮ রান। অশ্বিন ৬১ বলে ৫৪ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৪৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯৪ রান।
৫২ ওভার পর আক্রমণে সাকিব
দুই সেশন হওয়ার পর অবশেষে বোলিংয়ে আনা হলো সাকিব আল হাসানকে। প্রথম ওভারটা অবশ্য ভালো কাটেনি তার। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন রবীন্দ্র জাদেজা। এক বল পর ছক্কায় ওড়ান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
সাকিবের ওভারে ১১ রান নিয়ে দুইশ পূর্ণ করেছে ভারত।
৫৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৮ রান। অশ্বিন ৩৯ বলে ৪০ ও জাদেজা ২৭ বলে ২০ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৬৪ রান। ইনিংসে যা সর্বোচ্চ।
জাদেজা-অশ্বিন জুটির পঞ্চাশ
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণে রান বাড়াচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশছোঁয়া জুটি, মাত্র ৫৭ বলে।
৫২ বলে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৭ রান। অশ্বিন ৩৫ বলে ৩৪ ও জাদেজা ২৫ বলে ১৫ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৫৩ রান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন জাদেজা
হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রবীন্দ্র জাদেজার প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন। কিছুটা সময় নিয়ে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিলেন জাদেজা।
রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে জাদেজার ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়েছে বল। তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান ১৩ রানে থাকা জাদেজা।
৫০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৪ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৪০ রান।
দ্বিতীয় সেশনও বাংলাদেশের
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয়টিও নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। দুই সেশনেই তারা নিল ৩টি করে উইকেট। বিপরীতে দুই সেশনেই ভারতের সংগ্রহ ৮৮ রান।
চা বিরতি পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১৯ বলে ২১ ও রবীন্দ্র জাদেজা ১৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত থেকে শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম সেশনের মতোই দারুণ বোলিংয়ে রিশাভ পান্তকে ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ।
পরে পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করেন ইয়াশাসবি জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল। গতিময় শর্ট বলে ৫৬ রান করা জয়সওয়ালকে আউট করেন নাহিদ রানা।
পরের ওভারে রাহুলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চালকে আসনে বসান মেহেদী হাসান মিরাজ। সেশনের শেষ দিকে ৩৪ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাদেজা ও অশ্বিন।
দুই সেশন শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বোলিংয়ে আনা হয়নি সাকিব আল হাসানকে।
মিরাজের শিকার রাহুল
পরপর দুই ওভারে থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট নিল বাংলাদেশ। ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন লোকেশ রাহুল।
মেহেদী হাসান মিরাজের মিডল স্টাম্পে পিচ করা অফ স্পিন আলতো করে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় শর্ট লেগে ধরা পড়েন ১৬ রান করা রাহুল। ডান দিকে নিচু হয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন জাকির হাসান।
৪৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৯ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা।
জয়সওয়ালকে ফেরালেন নাহিদ
একপ্রান্ত আগলে রাখা ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের প্রতিরোধ ভাঙলেন নাহিদ রানা। ১৪৮ কিমি প্রতি ঘণ্টার শর্ট ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
তিন ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে থেকে ১১৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন জয়সওয়াল। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
নতুন ব্যাটসম্যান রবীন্দ্র জাদেজা। ৫০ বলে ১৬ রানে খেলছেন লোকেশ রাহুল।
৪২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৪ রান।
জয়সওয়ালের ফিফটি
টেস্ট ক্যারিয়ারের দারুণ শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। দলের চাপের মুখে খেললেন আরেকটি পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে জয়সওয়ালের এটি পঞ্চম ফিফটি। এছাড়া একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ তিনটি সেঞ্চুরি আছে তার।
৩৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩২ রান। জয়সওয়াল ৯৬ বলে ৫০ ও লোকেশ রাহুল ৩৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত।
২৮তম ওভারে ভারতের একশ
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। তার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জুটি বেধেছেন লোকেশ রাহুল। ২৮তম ওভারে একশ পূর্ণ করেছে ভারত।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরপর রিশাভ পান্তকে ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তার পরের ওভারেই বাউন্ডারি মেরে দলের একশ রান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল।
২৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩ রান। জয়সওয়াল ৭৬ বলে ৪৩ ও রাহুল ৯ বলে ১ রানে অপরাজিত।
পান্তকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন হাসান
প্রথম সেশনে ভারতকে কাঁপিয়ে দেওয়া হাসান মাহমুদের হাত ধরে এলো আরেকটি সাফল্য। মধ্যাহ্ন-বিরতির পরপরই ভাঙল ভারতের চতুর্থ উইকেট জুটি।
দ্রুত এগোনো রিশাভ পান্তকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট পেলেন হাসান।
অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলস্যে ভরা কাট শটে গড়বড় করে বিপদ ডেকে আনেন পান্ত। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসে জমিয়েই উৎসবে মাতেন কিপার লিটন দাস। ভাঙে ৯৯ বল স্থায়ী ৬২ রানের জুটি।
৫২ বলে ছয় চারে ৩৯ রান করেন ভারতের কিপার-ব্যাটসম্যান পান্ত।
২৬ ওভারে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৯৭। ক্রিজে ইয়াশাসবি জওসওয়ালের সঙ্গী লোকেশ রাহুল।
হাসানের তোপে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
নতুন বলে দিনের শুরুর আর্দ্রতা দারুণভাবে কাজে লাগালেন হাসান মাহমুদ। স্বপ্নের মতো স্পেলে তিনি ফিরিয়ে দিলেন রোহিত শার্মা, শুবমান গিল ও ভিরাট কোহলিকে। এরপর অবশ্য জুটি গড়লেন রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। তবু প্রথম সেশন রইল বাংলাদেশের পক্ষেই।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮ রান। জয়সওয়াল ৬২ বলে ৩৭ ও পান্ত ৪৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর দুই দিকে সুইংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত লাইন-লেংথে পশরা মেলে ধরেন হাসান। ষষ্ঠ ওভারে রোহিতকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে আউট করেন গিলকে। টানা তৃতীয় ওভারে তরুণ পেসারের তৃতীয় শিকার হন কোহলি।
পাঁচ ওভারের স্পেলে তখন ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৩ উইকেট হাসানের।
এরপর অবশ্য আর আনন্দের উপলক্ষ পায়নি বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন জয়সওয়াল ও পান্ত। ওভারপ্রতি প্রায় ৪ রান করে নেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বিরতির আগের ওভারে ফিরতে পারতেন পান্ত। কিন্তু স্লিপে 'হাফ-চান্স' নিতে পারেননি সাদমান ইসলাম।
সুযোগ হারালেন সাদমান, জুটির পঞ্চাশ
তাসকিন আহমেদের ক্রস সিম ডেলিভারি সামনে খেলার চেষ্টায় লাগল রিশাভ পান্তের ব্যাটের কানায়। স্লিপে ক্যাচের মতো উঠলেও নিতে পারলেন না সাদমান ইসলাম। তার হাতের নিচ দিয়ে বল চলে গেল সীমানায়।
এই বাউন্ডারিতে পূর্ণ হয় রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের জুটির পঞ্চাশ রান।
২২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৬ রান। জয়সওয়াল ৬১ বলে ৩৯ ও পান্ত ৩৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত।
১৯তম ওভারে প্রথম স্পিন
তিন পেসারকে দিয়ে টানা ১৮ ওভার করানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মধ্যাহ্ন বিরতির বাকি ১৫ মিনিটের কম সময়।
১৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৭ রান। ইয়াশাসবি জয়সওয়াল ৪৬ বলে ২৮ ও রিশাভ পান্ত ৩০ বলে ২১ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের দাপট
টসের সময় নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, উইকেটের আর্দ্রতা কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেছেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার।
পাঁচ ওভারের স্পেলে ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রান দিয়ে রোহিত শার্মা, শুবমান গিল ও ভিরাট কোহলিকে ফিরিয়েছেন হাসান। কোহলিকে কট বিহাইন্ড করার পর হাসানের হাসি দেখে ধারাভাষ্য কক্ষে মুরালি কার্তিক তাকে 'নিরীহ চেহারার ঘাতক' বলেন।
অন্য প্রান্তে তাসকিন অবশ্য কিছুটা এলোমেলো বোলিং করেছেন। ৫ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ফেলেন তিনি। ১১তম ওভারে তাই নাহিদ রানাকে আক্রমণে আনেন শান্ত। প্রথম বলটিই ১৪৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে করেন নাহিদ।
প্রথম ঘণ্টার ১১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬ রান। ইয়াশাসবি জয়সওয়াল ২৮ বলে ১৮ ও রিশাভ পান্ত ৬ বলে ০ রানে অপরাজিত।
হাসানের তৃতীয় শিকার কোহলি
নতুন বলে ভারতকে চাপে ফেলে দিলেন হাসান মাহমুদ। পরপর তিন ওভারে রোহিত শার্মা, শুবমান গিল ও ভিরাট কোহলিকে ফেরালেন তরুণ পেসার।
হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি হালকা সিম মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ড্রাইভ খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে।
৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন কোহলি৷ ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান প্রায় ২১ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা রিশাভ পান্ত। ২৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ইয়াশাসবি জয়সওয়াল।
১০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৪ রান।
গিলকেও ফেরালেন হাসান
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। রোহিত শার্মার পর শুবমান গিলকেও ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন তরুণ পেসার৷
রানের খাতা খোলার চেষ্টায় লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হলেন গিল।
৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। নতুন ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলি। ১৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ইয়াশাসবি জয়সওয়াল।
রোহিতকে ফেরালেন হাসান
দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেতে সময় লাগল না হাসান মাহমুদের। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রোহিত শার্মাকে ফিরিয়ে দিলেন তরুণ পেসার৷
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা বেরিয়ে যাওয়া গুড লেংথ ডেলিভারি রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টায় রোহিতের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে। কোনো ভুল করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৯ বলে ৬ রান করে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শুবমান গিল৷ ৭ রানে অপরাজিত ইয়াশাসবি জয়সওয়াল।
৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৪ রান।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন রোহিত
ইনিংসের শুরুতেই অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন রোহিত শার্মা।
হাসান মাহমুদের ফুল লেংথ থেকে সিম মুভমেন্টে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টায় আঘাত করে রোহিতের প্যাডে৷ বাংলাদেশের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, মিডল স্টাম্পের ওপরের দিকে ছুঁয়ে যেত বল অর্থাৎ 'আম্পায়ার্স কল।' মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেওয়ায় বিপদ ঘটেনি ১ রানে থাকা রোহিতের৷ তবে রিভিউ হারায়নি বাংলাদেশ।
৪ ওভারে ভারতের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮ রান।
লাল মাটির উইকেটে বাড়বে টার্ন-বাউন্স
পিচ রিপোর্টে দিনেশ কার্তিক বলেছেন, 'চেন্নাইয়ের গড়পড়তা দিনের চেয়ে ভিন্ন বৃহস্পতিবার। সকালে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ৩৩-৩৪ ডিগ্রি হতে পারে। লাল মাটির উইকেট। যার মানে খেলা যত এগোবে টার্ন ও বাউন্স বাড়বে। তাই স্পিনাররা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। উইকেটে আর্দ্রতা আছে। তাই শুরুতে পেসারদের সুবিধা থাকবে।
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিরল সিদ্ধান্ত
এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ৩৫ টেস্টের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে প্রথমবার টস জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড।
ভারত একাদশেও তিন পেসার
বাংলাদেশের মতো একই কম্বিনেশনে একাদশ সাজিয়েছে ভারত। তিন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দিপের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে।
ভারত একাদশ: রোহিত শার্মা, ইয়াশাসবি জয়সওয়াল, শুবমান গিল, ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রিশাভ পান্ত, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ, আকাশ দিপ, মোহাম্মদ সিরাজ।
বাংলাদেশের একাদশে তিন পেসার
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার সঙ্গে দুই পেস অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সাজানো হয়েছে দল।
ব্যাটিং বিভাগও রাখা হয়েছে আগের মতোই।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ভারত সফরের প্রথম ম্যাচে কয়েনভাগ্য এলো নাজমুল হোসেন শান্তর পক্ষে। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
টসের সময় শান্ত বলেছেন, উইকেটে আর্দ্রতা দেখতে পাচ্ছেন তিনি। তাই ম্যাচের শুরুতে পেস বোলারদের দিয়ে এই সুবিধা কাজে লাগাতে চায় তার দল।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শার্মা বলেছেন, টস জিতে তিনিও আগে বোলিং নিতেন।
নতুন অভিযানে ভারতের সামনে বাংলাদেশ
পাকিস্তান সফরে স্মরণীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু প্রথম ম্যাচ।
শক্তিসামর্থ্য, সাম্প্রতিক ছন্দ কিংবা মুখোমুখি পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে ভারত। তবে সেসব না ভেবে ফলাফলের চিন্তা করে পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দুই দল এখন পর্যন্ত ১৩টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের জয় ১১টি আর ২০০৭ ও ২০১৫ সালে বৃষ্টির সৌজন্যে ড্র হয় বাকি দুই ম্যাচ।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। চার নম্বরে বাংলাদেশ।