টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
জয়ের কৃতিত্ব বোলারদের দিলেন ম্যাচের সেরা সাকিব আল হাসান।
Published : 14 Jun 2024, 01:40 AM
৩৩ বলে দরকার ৪৯ রান, হাতে ৭ উইকেট। জয়ের সম্ভাবনায় তখন অনেকটাই এগিয়ে নেদারল্যান্ডস। তবে পরের তিন বলে কোনো রান না দিয়ে দুটি উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজুর রহমান উপহার দিলেন দুর্দান্ত দুটি ওভার। ডাচদের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নিল বাংলাদেশ। দারুণ এক ফিফটি করে সাকিব আল হাসান ম্যাচের সেরা হলেও জয়ের কৃতিত্ব তিনি দিলেন বোলারদের, বিশেষ করে রিশাদ ও মুস্তাফিজকে।
সেন্ট ভিনসেন্টে বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৬০ রানের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস থেমেছে ১৩৪ রানে।
শেষ ৬ ওভারে ডাচদের দরকার ছিল ৫৬ রান। পঞ্চদশ ওভারে রিশাদের প্রথম তিন বলে একটি বাউন্ডারিতে আসে ৭ রান। পরের তিন বলের মধ্যে এই লেগ স্পিনার ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট (২২ বলে ৩৩) ও বাস ডে লেডেকে।
সাকিব পরের ওভারে দেন কেবল ৫ রান। সপ্তদশ ওভারে মুস্তাফিজ ওয়াইড দিয়ে শুরুর পর ফিরিয়ে দেন স্কট এডওয়ার্ডসকে (২৩ বলে ২৫)। বাঁহাতি পেসারের পরের ৫ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি টিম প্রিঙ্গল!
পরের ওভারে প্রথম বলে রিশাদ ফিরতি ক্যাচে বিদায় করেন লোগান ফন বিককে, একটি ছক্কা হজম করে ওভারে দেন তিনি ৭ রান।
শেষ দুই ওভারে নেদারল্যান্ডসের দরকার ছিল ৩৬ রান। ১৯তম ওভারে স্রেফ ৩ রান দিয়ে বাংলাদেশের জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন মুস্তাফিজ।
৪৬ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হওয়া সাকিব পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বললেন, রিশাদ ও মুস্তাফিজের শেষের বোলিংই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
“চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ছিল, যদিও জয়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তবে বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। রিশাদ ও ফিজ (মুস্তাফিজ) নেদারল্যান্ডসের থেকে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। গত ৪-৫ বছরে খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচই এখানে হয়েছে (আসলে প্রায় ১০ বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলো এই মাঠে)। সুতরাং, আমরা জানতাম না যে, কত রান এখানে ভালো স্কোর।”
“বিশ্বকাপের ম্যাচে ১৬০ রানে (প্রতিপক্ষকে আটকানো) সবসময়ই কঠিন। নেদারল্যান্ডসের সুযোগ ছিল, এই মাঠে, যেখানে বাতাস একমুখী, সেখানে শেষ ৭-৮ ওভারে প্রতি ওভারে ১০ রান ডিফেন্ড করা কঠিন। সেই কাজটা করতে পারার কৃতিত্ব বোলারদের।”
ম্যাচে ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৩৩ রানে ৩ শিকার ধরেন রিশাদ। সাকিবই শুধু উইকেট পাননি। তাসকিন আহমেদ ৩০ রানে নেন ২টি, তানজিম হাসান ২৩ রানে একটি ও মাহমুদউলাহ এক ওভারে ৬ রানে নেন একটি উইকেট।