টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
স্কটিশ ওপেনার মাইকেল জোন্স মজা করে বললেন, অস্ট্রেলিয়া যদি সত্যিই স্কটল্যান্ডকে ছাড় দিতে চায়, তাহলে ডেভিড ওয়ার্নার শুরুতে বল করলে বেশ হবে।
Published : 13 Jun 2024, 06:06 PM
ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে দেওয়ার ভাবনায় এবং সেই চাওয়া পূরণে প্রয়োজনে ‘স্কটল্যান্ডকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার’ অভাবনীয় পরিকল্পনা জানিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জশ হেইজেলউড। এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে স্কটল্যান্ডের ওপেনার মাইকেল জোন্স বেশ মজা করে বলেন, সেক্ষেত্রে তাদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই যদি ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে বল তুলে দেয়, তাহলে দারুণ হবে।
টানা তিন জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় হয়ে পরের ধাপে ওঠার সুযোগ আছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সামনে।
বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশদের লড়াই। পরের ম্যাচে শিরোপাধারীরা হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চতুর্থ স্থানে থাকা ইংলিশদের সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা ঝুলছে তাই অনিশ্চয়তার সুতোয়।
গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচ ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। আগামী শুক্র ও শনিবারের লড়াই দুটিতে জয়ের বিকল্প নেই ইংলিশদের। আবার কেবল জিতলেই হবে না, বাড়িয়ে নিতে হবে রান রেটও। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রান রেট এখন -১.৮০০।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর নামিবিয়া ও ওমানকে হারিয়ে তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন দেখছে স্কটল্যান্ড। তাদের রান রেটও বেশ ভালো, ২.১৬৪। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেও পরের ধাপে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকবে দলটির।
বিশেষ করে, শেষ ম্যাচের ওপর নির্ভর করতে পারে ইংল্যান্ডের পরের ধাপের টিকেট। তাই চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের আটকে দিতে ‘স্কটল্যান্ডকে মুখোমুখি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড় দিবে কিনা’-এই প্রশ্নে হেইজেলউড একটু রহস্য রেখেই উত্তর দেন। এতেই চারিদিকি শুরু হয় আলোচনার ঢেউ।
ইংল্যান্ডের কোচ ম্যাথু মট অবশ্য সেসব নিয়ে তেমন ভাবতে চান না। তার আশা, হেইজেলউড স্রেফ মজা করেছেন। তবে আলোচনার যেন শেষ নেই। স্কটিশ ওপেনার জোন্সও যেমন মজা করে বললেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের সেরা ওপেনারকে দিয়ে বোলিং শুরু করালে বেশ হবে।
“আমি (হেইজেলউডের সংবাদ সম্মেলন) সরাসরি দেখছিলাম আর হাসছিলাম। যেভাবেই হোক, আমরা সুপার এইটে যেতে পারলেই হলো। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য মাত্রার। তাই অস্ট্রেলিয়া যদি সেভাবে খেলতে চায়, তাহলে আমাদের জন্য খুশির দিন।”
“হয়তো তারা ডেভিড ওয়ার্নারকে দিয়ে বোলিং শুরু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার কোনো ক্রিকেটারকে আমি চিনি না। তবে তাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো কিছুর ব্যবস্থা করতে পারলে ভালোই হতো (হাসি)।”
স্কটল্যান্ডের ভাগ্য অবশ্য তাদের নিজেদের হাতেই আছে এখনও। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজয় এড়ালেই তারা পাবে সেরা আটের টিকেট। এমনকি হেরে গেলেও সমীকরণের মারপ্যাঁচে থাকবে সুযোগ।
ইংল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচ ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। দুই ম্যাচ জিতলে তাদেরও হবে স্কটল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট। আর জয়ের ব্যবধান যদি বড় হয় তাহলে নেট রান রেটেও হবে উন্নতি।
ইংল্যান্ডের দুই ম্যাচ আগেই হবে, বিধায় শেষ ম্যাচে নিজেদের সমীকরণ জানা থাকবে জোন, জর্জ মানজি, গেরহার্ড এরাসমাসদের। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জেতা যদি সম্ভব নাও হয়, তাহলে নেট রান রেটের হিসেব মেলানোর আশা জোন্সের।
“(শেষ ম্যাচে)আমাদের কী করতে হবে, সেটি জানা থাকায় সুবিধা হবে যে আমাদের হয়তো অত বেশি ঝুঁকি নিতে হবে না। কোচিং স্টাফের সদস্যরা সুনির্দিষ্ট সংখ্যা, সমীকরণ বের করে ফেলবে।”
“উদাহণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের লক্ষ্য দাঁড়াল ১৮০ রান। কিন্তু ১৫০ করতে পারলেই আমরা সুপার এইটে চলে যাব। তখন যদি উইকেট পড়তে থাকে, তাহলে ১৫০ রান করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে। যে ভাবেই হোক পরের ধাপে যাওয়াটাই মূল।”