অভিজ্ঞ পেসার শামির টানা ছয় বলে শট খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আউট হন তরুণ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার।
Published : 14 Mar 2025, 05:06 PM
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালের মঞ্চ। প্রথমবার ওপেনিংয়ে ব্যাট করার সুযোগ। কিন্তু উপলক্ষটা রাঙিয়ে রাখতে পারেননি কুপার কনোলি। মোহাম্মদ শামির সঙ্গে দ্বৈরথে তাকে হার মানতে হয় শূন্য রানে আউট হয়ে। সেই স্মৃতি মনে করে অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিনিং অলরাউন্ডার প্রশংসায় ভাসালেন অভিজ্ঞ ভারতীয় পেসারকে।
কনোলির সামনে সুযোগটা আসে হুট করেই। ওপেনার ম্যাথু শর্ট চোট নিয়ে ছিটকে পড়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে একাদশে নেওয়া হয় তাকে।
দুবাইয়ে গত ৪ মার্চের ওই ম্যাচে আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল স্রেফ তিনটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা ছিল কেবল একবার।
তাকে দলের ইনিংস শুরু করতে পাঠানো হয় বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেডের সঙ্গে। কিন্তু ৯ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন ২১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
কনোলি ওই ৯টি বলই খেলেন শামির বিপক্ষে। প্রথম দুটিতে ব্যাটে লাগাতে পারলেও, পরের টানা ছয় বলে শট খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ব্যাট হাতে হতাশার পর ফিল্ডিংয়ে দ্বিতীয় ওভারে পয়েন্টে রোহিত শার্মার ক্যাচ ফেলেন কনোলি। পরে অবশ্য নিজেই বোলিংয়ে এসে রোহিতকে এলবিডব্লিউ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের দেখা পান তিনি। অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৪ উইকেটে।
শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ সামনে রেখে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কনোলি বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ওই অভিজ্ঞতা তার সামনের পথচলায় কাজে লাগবে। আলাদা করে তিনি প্রশংসা করেন শামির।
“ছোটবেলায় সবসময় সবার চাওয়া থাকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। সেমি-ফাইনালে খেলাটা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখব।”
“এ কারণেই শামি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তিনি অনেক ম্যাচ খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের দারুণ এক ম্যাচ হয়েছে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট অভিষেক হয় কনোলির। সেখানেও মনে রাখার মতো কিছু অবশ্য করতে পারেননি। ব্যাট হাতে একমাত্র ইনিংসে আটে নেমে করেন ৪ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ ওভার বোলিং করে পাননি কোনো উইকেট।
অভিষেক রাঙাতে না পারলেও টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাস তার কণ্ঠে।
“আমার ব্যাগি গ্রিন পাওয়া এবং তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা, একটা স্বপ্ন সত্যি হলো… আশা করি, সামনে আরও অনেক কিছু আসবে।”