বিসিবির নতুন পুরস্কার পাচ্ছেন জাতীয় লিগের সেরা মামুন

প্রথমবারের মতো ‘জহির-মুনির অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স’ চালু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2022, 02:31 PM
Updated : 26 Nov 2022, 02:31 PM

স্বীকৃত ক্রিকেটে অভিষেক মৌসুমেই বাজিমাত করেছেন রংপুর বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন। এবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের সেরা খেলোয়াড় হয়ে চমক উপহার দিয়েছেন তিনি। তার এই কৃতিত্ব এবার পেতে যাচ্ছে বাড়তি এক স্বীকৃতি। বিসিবির নতুন প্রবর্তিত বিশেষ পুরস্কার পাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

দুই সাবেক ক্রিকেটার জহিরুল হক ও তারিকউজ্জামান মুনিরের স্মৃতিতে ‘জহির-মুনির অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স’ প্রবর্তন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবার এ পুরস্কার উঠছে মামুনের হাতে।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দিবা-রাত্রির বিসিএল ফাইনালের পর মামুনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দুই লাখ টাকা অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি একটি ব্লেজার ও পদক দেওয়া হবে মামুনকে।

বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই স্বীকৃতি এখন থেকে নিয়মিতই দেওয়া হবে।

“আমরা এবার ‘জহির-মুনির অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স’ চালু করছি। এ পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়া হবে। জাতীয় লিগ শেষ হওয়ার পরই এটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেক ম্যাচ তো একেক ভেন্যুতে হয়, তাই তখন দিতে পারিনি আমরা। বিসিএল ফাইনালের পর সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) এ পুরস্কার তুলে দেবেন।”

টেস্ট স্বীকৃতি লাভের আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের আদলে হতো জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে সেই টুর্নামেন্টে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তারিকউজ্জামান মুনির। ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ছিল ৩০৮ রানের সেই ইনিংস।

তার আগে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি করেন জহিরুল হক। তখন এ টুর্নামেন্টের প্রথম শ্রেণির স্বীকৃতি না থাকায় রেকর্ডের পাতায় জায়গা পায়নি জহিরুল-মুনিরের কীর্তি।

উল্লেখ্য, রংপুরকে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় শিরোপা জেতানোর পথে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মামুন। ডিউক বলের কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আসরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান মামুন। সিলেটের বিপক্ষে ওই ম্যাচে খেলেন ১৬ চার ও ১৩ ছয়ে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস।

সব মিলিয়ে ৯ ইনিংসে ৪৬.৫৭ গড়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। সঙ্গে ডানহাতি মিডিয়াম পেসে স্রেফ ১২.২৭ গড়ে শিকার করেন ১১ উইকেট। সিলেটের বিপক্ষে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে পাওয়া ৪০ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং।