টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
বিশ্বমানের মাঠকর্মীদের দিয়ে উইকেটের মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
Published : 07 Jun 2024, 11:02 AM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে চলছে নেতিবাচক আলোচনা। মাঠে খেলা ক্রিকেটার, সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকরা এক বাক্যে বলেছেন, খুবই বাজে এই মাঠের উইকেট। এবার আইসিসিও মেনে নিয়েছে সেটি।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের উইকেটের মানোন্নয়ের জন্য বিশ্বমানের দল দিয়ে কাজ শুরুর কথা জানায় আইসিসি।
“নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পিচগুলো আমাদের প্রত্যাশানুযায়ী আচরণ করেনি। বিশ্বমানের মাঠকর্মীর দল গতকালের (বুধবার) ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই সমাধানের জন্য কাজ করছে। বাকি ম্যাচগুলোতে সম্ভাব্য সেরা উইকেট দেওয়ার চেষ্টা করবে তারা।”
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের এই স্টেডিয়াম। অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হয়েছে দশটি ড্রপ-ইন পিচ। অবশ্য শুধু পিচ নয়, পুরো স্টেডিয়ামই মূলত ড্রপ-ইন। টুর্নামেন্ট শেষে আবার খুলে নেওয়া হবে অস্থায়ী কাঠামোর গ্যালারি।
এই মাঠে এখন পর্যন্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। একটিতেও আগে ব্যাট করা দল একশ ছুঁতে পারেনি। এক নম্বর পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোটে ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেটি তাড়া করতে প্রোটিয়াদের লেগে যায় ১৬.২ ওভার।
চার নম্বর পিচে ভারতের বিপক্ষে একপর্যায়ে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৯৬ রানে। ১২.২ ওভারে ম্যাচ জেতে রোহিত শার্মার দল। ওই ম্যাচে হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রোহিতকে। এছাড়া অস্বাভাবিক বাউন্সের কারণে গায়ে বলের আঘাত পান রিশাভ পান্ত, হ্যারি টেক্টররা।
ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পরেই মূলত জোরাল হয় উইকেট নিয়ে আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা এই উইকেটকে ‘খুব বাজে’ এবং ‘ভয়ঙ্করের কাছাকাছি’ বলে রায় দেন।
এই মাঠে এখনও বাকি গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচ। আগামী সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া রোববার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও হবে নিউ ইয়র্কে। এসব ম্যাচের জন্য দুটি পিচ তৈরি করা হচ্ছে।