ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন মার্শাল আইয়ুব, শতকের জন্য ১ রানের অপেক্ষায় সদ্য টেস্ট অভিষেক হওয়া মাহিদুল ইসলাম।
Published : 04 Nov 2024, 07:11 PM
ফলো-অনে পড়া দলকে দারুণভাবে টেনে তুললেন মার্শাল আইয়ুব। ঢাকা মেট্রোর হয়ে তিন ম্যাচে তিনি করলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ঢাকার অধিনায়ক মাহিদুল ইসলামের সামনেও দ্বিতীয় শতকের হাতছানি।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে তৃতীয় দিন শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত মাহিদুল। অন্য ম্যাচে বোলারদের নিয়ে লড়াই করেছেন প্রিতম কুমার। আর শেষ দিনে রোমাঞ্চের আভাস দিচ্ছে রংপুর-সিলেট ম্যাচ।
মার্শালের সেঞ্চুরিতে মেট্রোর লড়াই
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে ১৩১ রানে এগিয়ে গেছে ঢাকা মেট্রো। ফলো-অনে পড়ে তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯৭ রান।
প্রায় ১৯ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২৬তম সেঞ্চুরিতে ১৩০ রানে অপরাজিত মার্শাল আইয়ুব। প্রথম রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
সোমবার হতাশ করে মেট্রোর টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ, আনিসুল ইসলাম ও আইচ মোল্লা। একশর আগে ৩ উইকেট হারায় তারা।
চতুর্থ উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন মার্শাল। ৩২ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন শামসুর।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি মার্শাল ও আমিনুল ইসলাম। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৩১ রান যোগ করে দিন পার করে দেন তারা। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত আমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৩৭৬
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২১০
ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: (ফলো-অন) ৮২.২ ওভারে ২৯৭/৪ (আগের দিন ১২/০) (নাঈম ২৬, আনিসুল ২৮, আইচ ১২, মার্শাল ১৩০*, শামসুর ৩২, আমিনুল ৪৮*; আল আমিন ১৫-৪-৪৭-২, সালমান ৭.২-০-৪১-০, হালিম ১৩-১-৪২-০, মেহেদি ২৫-৪-৭০-১, টিপু ২১-৩-৭৩-১, ইমরুল ১-০-৬-০)
ফিরেই সেঞ্চুরির দুয়ারে মাহিদুল
জাতীয় দলের ডাকে চলে যাওয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি মাহিদুল ইসলাম। এর আগে প্রথম রাউন্ডে তিনি খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস। জাতীয় লিগে ফিরে আবার শতকের দুয়ারে তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
কক্সবাজার একাডেমি মাঠে মাহিদুলের ব্যাটে চট্টগ্রামকে দারুণ জবাব দিচ্ছে ঢাকা। তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৮১ রান। ৬ উইকেট বাকি রেখে আর ৯০ রানে পিছিয়ে তারা।
দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার আশিকুর রহমান ও জয়রাজ শেখ। উদ্বোধনী জুটি যোগ করেন ৯৭ রান। দুজনই পান পঞ্চাশের দেখা। তবে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। দুই ওপেনারকেই ফেরান হাসান মুরাদ।
৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ বলে ৫২ রান করেন আশিকুর। জয়রাজের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৪১ বলে ৭৪ রান।
এরপর হতাশ করেন আরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। তবে তাইবুর রহমানকে নিয়ে দ্রুতই সামাল দেন মাহিদুল। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১০৮ রান যোগ করেন তারা।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫৩ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত মাহিদুল। তাইবুর খেলছেন ৩৮ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৭১
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ২৮১/৪ (আগের দিন ২২/০) (আশিকুর ৫২, জয়রাজ ৭৪, আরিফুল ৬, মাহিদুল ৯৯*, মোসাদ্দেক ৫, তাইবুর ৩৮*; ইফরান ৮-০-২৯-০, শরিফ ১৩-১-৪২-০, মুরাদ ২৩-২-৬৯-২, নাঈম ৩২-৭-১০২-২, ইয়াসিন ৮-০-৩৩-০)
বগুড়ায় শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষা
তানবীর হায়দার ও নবিন ইসলামের বড় জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রংপুর। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিন কঠিন চ্যালেঞ্জই পার করতে হবে সিলেটকে।
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ১৯০ রানের লক্ষ্যে সিলেটের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১ রান। শেষ দিন তাদের প্রয়োজন আরও ১৩৯ রান। রংপুরের চাই ৮ উইকেট।
সিলেটের চেয়ে ৩১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রান করে রংপুর। এর কারিগর তানবীর ও নবিন। মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৪৯ রানের জুটি।
দলকে দুইশ পার করানোর পর আউট হন ১৮২ বলে ৬৩ রান করা নবিন। পরে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় রংপুর। ১৬৮ বলে ৭২ রান করেন তানবীর।
রান তাড়ায় দিনের শেষ দিকে ফেরেন সিলেটের তৌফিক খান ও মাইশুকুর রহমান। ২৮ রানে অপরাজিত পিনাক ঘোষ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)
রংপুর ১ম ইনিংস: ১৫৮
সিলেট ১ম ইনিংস: ১৮৯
রংপুর ২য় ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২২০ (আগের দিন ৬৬/৫) (আকবর ৫, তানবীর ৭২, নবিন ৬৩, রবিউল ০, হাশিম ০, আসাদুল্লাহ হিল গালিব ০*; আবু জায়েদ ৩.৩-০-১৩-১, খালেদ ১৬-৩-৪৮-২, তোফায়েল ১৪.৩-২-৩৬-৩, রাজা ১৪-২-৩৬-০, রাহাতুল ২২.২-৭-৩৮-৩, তৌফিক ৩-০-১৪-০, আসাদুল্লা আল গালিব ৭-১-১৮-১)
সিলেট ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৯০) ১৮ ওভারে ৫১/২ (পিনাক ২৮*, তৌফিক ৯, মাইশুকুর ৯, রাজা ১*; মুকিদুল ৫-১-১৪-০, রবিউল ৫-২-৯-১, আদাদুল্লাহ হিল গালিব ২-০-৮-০, হাশিম ৪-০-৭-১, রিজওয়ান ১-০-৯-০, নাঈম ১-১-০-০)
বোলারদের নিয়ে প্রিতমের লড়াই
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে বরিশাল-রাজশাহী ম্যাচ। তিন দিনে মাত্র শেষ হয়েছে দুই দলের প্রথম ইনিংস।
তৃতীয় দিন শেষে ৬৫ রানে এগিয়ে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দিন শেষ করে বরিশাল। এর আগে বরিশালের ২০৫ রানের জবাবে রাজশাহী করে ২৭৫ রান।
রাজশাহীর পক্ষে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান প্রিতম কুমার। এছাড়া এসএম মেহেরব হাসান ৩৬, নিহাদউজ্জামান ৩৩ ও ওয়াসি সিদ্দিকি ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে লিড পেতে সাহায্য করেন।
বরিশালের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও সালমান হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২০৫
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৮১.৫ ওভারে ২৭৫ (আগের দিন ০/০) (মিজানুর ২১, সাব্বির ৬, হাবিবুর ২৭, ফরহাদ ৭, মেহেরব ৩৬, প্রিতম ৮০, সানজামুল ৪, নিহাদউজ্জামান ৩৩, ওয়াসি ৩৪*, আলি ০, মোহর ১০; তানভির ২৪-৪-৭৫-১, কামরুল ১১-১-৪৯-০, রুয়েল ১৪.৫-৪-৪১-৩, মইন ১১-৪-২৬-২, মইনুল ১০-১-৩৫-১, সালমান ১১-২-৩২-৩)
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৩ ওভারে ১০/০ (মজিদ ৮*, ইফতেখার ১*; আলি ১-০-২-০, সানজামুল ১-০-৩-০, মেহেরব ১-০-৪-০)