সেমি-ফাইনালে হারার পর নিজেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
Published : 05 Mar 2025, 11:22 AM
তিনশ তো একসময় দৃষ্টিসীমাতেই ছিল। বরং লক্ষ্য ছিল আরেকটু দূরে। সত্যিই তেমন সংগ্রহ করতে পারলে ভারতের রান তাড়া হতে পারত ভীষণ কঠিন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত থমকে যায় অনেক কম রানেই। সেই ব্যর্থতার দায় নিজেকেই দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের মতে, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার আউটেই গোলমেলে হয়ে গেছে সব।
দলের সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে স্মিথের ব্যাট থেকেই। তবু তার কথার সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ খুব বেশি নেই। ৩৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪ উইকেটে ১৯৫। স্মিথ তখন উইকেটে দারুণভাবে জমে গেছেন। অ্যালেক্স কেয়ারি ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই দারুণ দ্রুততায় রান তুলছেন। ভারতকে তখন মনে হচ্ছিল দিশেহারা।
জুটি ভাঙতে মোহাম্মদ শামিকে আক্রমণে ফিরিয়ে এনেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শার্মা। কেয়ারি তখন যেভাবে ব্যাট করছিলেন, স্মিথের মূল দায়িত্ব ছিল জুটি এগিয়ে নেওয়া। কিন্তু হুট করেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শামিকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারার চেষ্টা করেন স্মিথ। ফুল টস ডেলিভারিতে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। বল ছোবল দেয় সরাসরি স্টাম্পে।
৫৮ বলে ৫৪ রানের এই জুটি ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও গতি হারায়। পরের ওভারে আকসার প্যাটেলকে ছক্কায় ওড়ানোর পরের বলে বোল্ড হয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরপর দুটি আউটের ধাক্কা আর সেভাবে সামাল দিতে পারেনি দল। শেষ পর্যন্ত ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। রান তাড়ায় খুব একটা ভুগতে হয়নি ভারতকে। ৪ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে তারা পৌঁছে যায় ফাইনালে।
ম্যাচের পর পেছন ফিরে তাকিয়ে স্মিথ আঙুল তুললেন নিজের আউটের দিকেই।
“হ্যাঁ, ফুল টস মিস করেছি… আদর্শ কিছু ছিল না। আমার পরিকল্পনা ছিল ওদের সিমারদের কিছুটা চাপে ফেলার চেষ্টা করা ও স্পিনে স্রেফ প্রান্ত বদলানো। কিন্তু কাজটা ঠিকঠাক করতে পারিনি। গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে নিজের উইকেট হারিয়েছি। নিজের ইনিংস আরেকটু টেনে নিতে পারলে দলের রান তিনশ বা এর আশেপাশে থাকত।”
“আরেকপাশে অ্যালেক্স (কেয়ারি) দারুণ খেলছিল। এভাবে আমার আউট হওয়াটা তাই হতাশাজনক। তবে কখনও কখনও খেলাটায় এমনই হয়।”
স্মিথ-কেয়ারি জুটির আগেও আরও কয়েকটি সম্ভাবনাময় জুটি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রতিবারই যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচে দাপট অস্ট্রেলিয়ার, তখনই উইকেট হারিয়েছে তারা। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে স্মিথের জুটি থেমেছে ৫০ রানে, মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের জুটি শেষ ৫৬ রানে। জশ ইংলিসের সঙ্গে তার সম্ভাবনাময় জুটি থমকে যায় ২৭ বলে ৩৪ রানে।
স্মিথের মতে, কোনো একটি জুটি আরেকটু লম্বা হলেও দলের রান তিনশতে পৌঁছে যেত।
“টস জয়ের পর সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল। তিনশর বেশি রান করার সুযোগ আমাদের সামনে ছিল ইনিংসজুড়েই। কিন্তু বেশ কয়েকটি পর্যায়ে বারবারই একটি উইকেট বেশি হারিয়ে ফেলেছি। কোনো একটি জুটি যদি আরও লম্বা করতে পারতাম, তাহলে অন্তত ২৯০-৩০০ রান করতে পারতাম ও ওদেরকে আরেকটু বেশি চাপে রাখতে পারতাম।”