বাবর আজমদের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের গল্প শুনিয়েছেন রমিজ রাজা।
Published : 11 Nov 2022, 04:49 PM
যেন ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি। একই ভেন্যু, ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষও একই। এবার অবশ্য সংস্করণ ভিন্ন। তবে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডকে আরও একবার হারিয়ে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য পাকিস্তানের। তিন দশক আগের সেই জয়ের অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে মাঠের লড়াইয়ে নামতে চায় তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের ফাইনালে আগামী রোববার মেলবোর্নে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। দুই দলের সামনেই দ্বিতীয় শিরোপার হাতছানি।
২০০৯ আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। পরের বছর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে ট্রফি জয়ের উল্লাসে মেতেছিল ইংল্যান্ড।
আরেকটি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নামার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। এই লড়াইয়ে আগে আলোচনায় ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনাল। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল এই দুই দলই।
মেলবোর্নে হওয়া ওই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ২৪৯ রানের পুঁজি গড়েছিল পাকিস্তান। রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে ২২৭ রানে গুটিয়ে ২২ রানের জয়ে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ইমরান খানের দল।
সংস্করণ আলাদা হলেও ৩০ বছর আগের বিশ্বকাপের মতোই অনেকটা এবারের বৈশ্বিক আসরে পাকিস্তানের পথচলা। দুইবারই সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। সেমিতে ওঠার পথটাও দুইবারই ছিল বেশ জটিল। আর শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চেও তারা পেয়েছে ইংল্যান্ডকেই।
তাই ঘুরে ফিরে আসছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা। ইংলিশদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ইনিংস শুরু করতে নামা রমিজ রাজা প্রতিপক্ষের শেষ ব্যাটসম্যানের ক্যাচটি লুফে নিয়ে দলকে উল্লাসে ভাসান। এখন তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান। বিশ্ব জয়ের নানা গল্প বাবর আজমদের শুক্রবার শোনান রাজা।
এদিন অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তান দলের মেন্টর ম্যাথু হেইডেন বললেন সেই কথা। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যানের মতে, আরেকটি রূপকথার অধ্যায় রচনা করতে এসব আলোচনা অনুপ্রেরণা যোগাবে বাবরদের।
“৯২ বিশ্বকাপের কিছু গল্প তিনি (রাজা) তুলে ধরেছেন। আমি মনে করি, এটা দারুণ কাজ। কারণ খেলাটি এই জন্যই খেলা হয়। এই ছেলেরা… ক্যারিয়ার শেষে এই টুর্নামেন্টের দিকে ফিরে তাকাবে।”
“তাদের গ্রামে ক্যাম্পফায়ারের পাশে বসে তারা এই গল্পগুলো করবে। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে। পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হবে, যেমনটা ৯২ সালের বিশ্বকাপ ছিল।”