আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হওয়ায় রোমাঞ্চিত অলিম্পিকে আটবারের সোনা জয়ী এই কিংবদন্তি স্প্রিন্টার।
Published : 24 Apr 2024, 11:14 PM
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হয়েছেন উসাইন বোল্ট। এই সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত অলিম্পিকসে আটবারের সোনা জয়ী কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। তার বিশ্বাস, সারা বিশ্বে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
বিশ্বকাপের জন্য বোল্টকে দূত করার কথা বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
টুর্নামেন্টটি বোল্টের জন্য বিশেষ এক মঞ্চ হতে যাচ্ছে। জ্যামাইকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেই বড় হয়েছেন তিনি। স্কুলে তার ক্রিকেট কোচের আগ্রহে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টগুলোতে চেষ্টা করার পরই তিনি মনোযোগ দেন অ্যাথলেটিক্সে। পরে হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা। গড়েন অবিশ্বাস্য সব রেকর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহাতারকা ক্রিস গেইলের দীর্ঘদিনের বন্ধু বোল্ট আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন।
“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত। ক্যারিবিয়ান থেকে আমার উঠে আসা, যেখানে ক্রিকেট জীবনের একটা অংশ, খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি আমি। বিশ্বকাপে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে কাজ করতে এবং সারা বিশ্বে খেলাটির উন্নয়নে অবদান রাখতে উন্মুখ হয়ে আছি।”
এবারই প্রথম ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্রে। ৩৭ বছর বয়সী বোল্ট মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে খেলাধুলার বাজার ধরতে পারবে ক্রিকেট। এতে ক্রিকেট খেলাটা নতুন উচ্চতায় উঠবে বলেও বিশ্বাস তার।
"তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, তখন তারা ওই খেলাটিকে সঠিকভাবে অনুসরণ করে এবং তারা সর্বোচ্চটা দেয়। আমার মনে হয়, তারা যদি এটি ধরতে পারে তাহলে তারা ঠিক পথেই এগোবে। আমি যেমনটা বুঝি, আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই উদ্যম আনতে পারি, তাহলে দারুণ হবে।”
২০২৮ সালের অলিম্পিকসে ফিরবে ক্রিকেট। অলিম্পিকসে প্রথম ও সবশেষ ক্রিকেট খেলা হয়েছিল ১৯০০ সালের প্যারিস আসরে। দীর্ঘ বিরতির পর অলিম্পিকসে ক্রিকেট ফেরায় উচ্ছ্বসিত ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ডধারী বোল্ট।
“একটা সোনার পদক পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। প্রতিটি খেলাই অলিম্পিকসে অংশ চেষ্টা করে, কারণ এটা বিশাল একটা ব্যাপার এবং এর পদকের মঞ্চে সোনার পদক জিততে পারাটা দারুণ অনুভূতি।”