টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
কানাডাকে অনায়াসে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 11 Jun 2024, 11:48 PM
পরপর দুই ম্যাচ হেরে দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল পিঠ। চারদিকে বইছিল আলোচনা-সমালোচনার স্রোত। অবশেষে পাকিস্তান শিবিরে ফিরল খানিকটা স্বস্তি। কানাডাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে রইল বাবর আজমের দল।
নিউ ইয়র্কে মঙ্গলবার পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটে। নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৭ রানের লক্ষ্য ১৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে পাকিস্তানের নায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৩ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
ম্যাচের সেরা অবশ্য মোহাম্মদ আমির। অভিজ্ঞ এই পেসার ৪ ওভারে স্রেফ ১৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এই জয়ে সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তিন নম্বরে আছে তারা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে ভারত শীর্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে দুইয়ে আছে।
৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে চারে কানাডা। ২ ম্যাচের দুটিই হেরে তলানিতে আয়ারল্যান্ড।
গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পাবে সুপার এইটের টিকেট।
প্রথম দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হারা পাকিস্তান শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে কানাডার মোট রানের অর্ধেক একাই করেন অ্যারন জনসন। ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা ও চারে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ১৫ রানও করতে পারেননি আর কেউ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কানাডার শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ম্যাচের প্রথম দুই বলেই চার মারেন জনসন। পরের বল অল্পের জন্য বাউন্ডারি হয়নি।
প্রথম দুই ওভারে আসে ১৬ রান। তৃতীয় ওভারে নাভনিত ধালিওয়ালকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আমির। এরপর নিয়মিতই উইকেট হারায় কানাডা।
এক প্রান্তে একাই দলকে টানেন জনসন। ফিফটি করেন তিনি ৩৯ বলে। খানিক পরই তাকে বোল্ড করে থামান নাসিম শাহ। শেষ ওভারে কালিম সানার ছক্কায় একশ ছাড়াতে পারে কানাডা।
লক্ষ্য তাড়ায় ইফতিখার আহমেদের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সাইম আইয়ুব বিদায় নেন শুরুতে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৬৩ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন রিজওয়ান ও বাবর।
৩৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় অধিনায়ক বাবর বিদায় নেন ৩৩ রান করে। ফাখার জামান টিকতে পারেননি। রিজওয়ান কাজ শেষ করে ফেরেন, তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি।
এদিন রিজওয়ানের ৫২ বলে ফিফটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটসম্যানের মন্থরতম পঞ্চাশ। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ডেভিড মিলারকে, চলতি আসরেই একই মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ বলে ফিফটি করেছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কানাডা: ২০ ওভারে ১০৬/৭ (জনসন ৫২, ধালিওয়াল ৪, পারগাত ২, কার্টন ১, মোভা ২, রাভিন্দারপাল ০, সাদ ১০, কালিম ১৩*, হেলিগার ৯*; আফ্রিদি ৪-০-২১-১, নাসিম ৪-০-২৪-১, আমির ৪-০-১৩-১, রউফ ৪-০-২৬-২, ইমাদ ৪-০-১৯-০)
পাকিস্তান: ১৭.৩ ওভারে ১০৭/৩ (রিজওয়ান ৫৩*, সাইম ৬, বাবর ৩৩, ফাখার ৪, উসমান ২*; কালিম ৩-০-২১-০, গর্ডন ৩.৩-০-১৭-১, হেলিগার ৪-০-১৮-২, সাদ ৪-০-২৩-০, জুনাইদ ৩-০-২৮-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ আমির