বাংলাদেশ ক্রিকেট
Published : 17 Mar 2025, 03:55 PM
বয়সভিত্তিক পর্যায় পেরিয়ে এখন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ মাহফুজুর রহমান রাব্বি, জিসান আলমরা। দেশের ক্রিকেটের পালাবদলের সময়ে নিকট ভবিষ্যতে জাতীয় দলের দুয়ারেও হয়তো কড়া নাড়বেন তারা। তবে এখনই এসব তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশি মাতামাতির পক্ষে নন নাজমুল হোসেন শান্ত।
২০২৩ সালে রাব্বির নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর যুব বিশ্বকাপে সুপার সিক্স থেকে বিদায় নেয় তারা। ওই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন জিসান। এছাড়া মারুফ মৃধা, আশিকুর রহমান, আরিফুল ইসলামদেরও বড় ভূমিকা ছিল।
গত বছরই স্বীকৃত ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে রাব্বি, জিসানদের। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর লিমিটেডের হয়ে শান্তর নেতৃত্বে খেলছেন তারা দুজন।
চতুর্থ রাউন্ডে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনে ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রাব্বি। এছাড়া গত আসরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ১২ ছক্কায় ১২৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি রেখেছিলেন ব্যাটিং সামর্থ্যের ছাপ।
দেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আদর্শ মেনে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন রাব্বি। গত আসরে সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং তিনি করেছিলেন।
বছর ঘুরতে বদলে গেছে দৃশ্যপট। গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে থমকে আছে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। সম্প্রতি জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিবের মতো বিশেষজ্ঞ না হলেও মাহমুদউল্লাহকেও স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে দেখা গেছে অনেক ম্যাচে।
দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের বিদায়ে শূন্যস্থান পূরণে রাব্বির মাঝে সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। সোমবার আবাহনীর অনুশীলনে ফাঁকে শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ক্রিকেট ছাড়ার পর তাদের জায়গায় রাব্বির সম্ভাবনা কতটা দেখেন তিনি।
উত্তরে এখনই কোনো মন্তব্য না করে জিসান-রাব্বিকে আরও উন্নতির তাগিদ দেন শান্ত।
“একটা অনুরোধ করি, এই যে (মাহফুজুর রহমান) রাব্বির সঙ্গে সাকিব ভাই বা অন্য যাদের (মাহমুদউল্লাহ) নাম বললেন, এটা করবেন না। এটা ওর জন্য চাপ। আমার মনে হয়, ওরা খুবই শুরুর পর্যায়ে আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ মাত্র ক্যারিয়ারের শুরু আমি বলব। নিজেকে কতটা উন্নতি করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
“একটা অনুরোধ থাকবে, জিসান বলেন, রাব্বি বলেন বা আরও যারা তরুণ তারা উঠে আসছে, তাদের নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি না করাই ভালো। ওদেরকে ওদের কাজটা করতে দেন। তাহলে তারা সামনের দিকে আরও ভালো ফিডব্যাক দেবে।”