আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন যাশাসবি জয়সওয়াল। তিনি ভেঙে দিয়েছেন লোকেশ রাহুল ও প্যাট কামিন্সের আগের যৌথ রেকর্ড।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে রান তাড়ায় ১৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রাজস্থান রয়্যালস ওপেনার জয়সওয়াল।
২০১৮ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়েছিলেন রাহুল। গত আসরে কলকাতার হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৪ বলে ফিফটি করে রাহুলের পাশে বসেছিলেন কামিন্স।
জয়সওয়ালের ১৩ বলে ফিফটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। যেখানে তার পাশে আরও আছেন মার্কাস ট্রেসকোথিক, মির্জা আহসান ও সুনিল নারাইন।
সবচেয়ে দ্রুততম ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড যৌথভাবে যুবরাজ সিং, ক্রিস গেইল ও হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের।
ইডেন গার্ডেন্সে বৃহস্পতিবার ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কলকাতার অধিনায়ক নিতিশ রানার করা ইনিংসের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে শুরু করেন জয়সওয়াল।
আইপিএলে কোনো ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কার দ্বিতীয় নজির এটি। ২০১৯ সালে বরুন অ্যারনের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরেছিলেন বিরাট কোহলি।
দুটি ছক্কা, তিনটি চার ও একটি ডাবলে প্রথম ওভারে জয়সওয়াল তোলেন ২৬ রান। এই টুর্নামেন্টে কোনো ইনিংসের প্রথম ওভারে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারে রেকর্ড ২৭ রান দিয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আবু নেচিম আহমেদ।
দ্বিতীয় ওভারে রান আউটে বিদায় নেন জয়সওয়ালের সঙ্গী জস বাটলার। ওই ওভারেই হারশিত প্যাটেলের শেষ বলে ছক্কায় ওড়ান তরুণ ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা তিনটি চারের পর সিঙ্গেল নিয়ে তিনি নাম তোলেন রেকর্ড বইয়ে।
আইপিএলে ক্রিস গেইলের দ্রুততম ৩০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডও শঙ্কার মুখে পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রেকর্ডটি অক্ষত রয়ে গেছে।
আরেক পাশে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও ঝড় তোলায় শেষ পর্যন্ত জয়সওয়ালের সেঞ্চুরি হয়নি। জয়ের জন্য দলের দরকার যখন আর ৩ রান, শতকের জন্য জয়সওয়ালের ৬। শার্দুলের বলে চার মেরে তিনি অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। ৪৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৫ ছক্কা ও ১২ চারে।