টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
উত্তরসূরিদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী স্কটল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
Published : 12 Jun 2024, 09:33 PM
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে যাওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে স্কটল্যান্ডের। এই ধাপে পৌঁছতে পারলে তা দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অর্জন হবে বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
বৃষ্টির কারণে ইংল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর টানা দুই ম্যাচে নামিবিয়া ও ওমানকে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে দুই নম্বরে আছে তারা।
তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে সুপার এইটে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। শীর্ষ দুই দল পাবে সুপার এইটের টিকেট।
গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী রোববার সেন্ট লুসিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড।
স্কটিশরা এখন পর্যন্ত তিনবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কখনও গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি। এর আগে পাঁচবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলে কেবল ২০২১ আসরে প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে উঠেছিল তারা।
সব সংস্করণ মিলিয়ে স্কটল্যান্ডকে ১১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া কোয়েটজার এবার উত্তরসূরিদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী। সুপার এইটে উঠতে পারলে তা দেশের খেলাধুলার জন্য অসাধারণ এক মুহূর্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।
"বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটি (সুপার এইটে ওঠা) হবে স্কটল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অর্জন। তবে এখনও অনেক কিছু হতে হবে, তাই তাদের পা মাটিতে রাখতে হবে, অভিজ্ঞতাটা উপভোগ করতে হবে এবং মনেপ্রাণে চেষ্টা করতে হবে।”
“তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার এবং লড়িয়ে পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পেয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে কী করা সম্ভব, তা কেউ জানে না।”
স্কটল্যান্ড রোববার অস্ট্রেলিয়াকে হারালে কিংবা ম্যাচটি ভেস্তে গেলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে ইংল্যান্ডের। ইংলিশদের পরের ধাপে যেতে হলে ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে যেমন বড় অবদানে জিততে হবে, একই সঙ্গে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়ের প্রার্থনাও করতে হবে।
কোয়েটজার মনে করেন, এবার স্কটল্যান্ড দল অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ, আর এটিই এই দলের সাফল্যের রেসিপি। তারা বড় দলগুলোর আরও ‘ক্ষতি’ করতে পারবে বলেই বিশ্বাস গত বছর অবসরে যাওয়া ৪০ বছর বয়সী কোয়েটজারের।
“আমি মনে করি, এবার কিছু পিচ সম্ভবত দলগুলোকে কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এবং র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করেছে যে, তারা সত্যিই বড় দলের কিছুটা ক্ষতি করতে পারে। স্কটল্যান্ডের এই টুর্নামেন্টে আরও এমন কিছু করতে না পারার কোনো কারণ নেই।”