ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিনে জুবায়ের হোসেনের বোলিংয়ে মুগ্ধ সাকিব আল হাসান। এদিন জুটি বেধে অনেকক্ষণ দুই প্রান্ত থেকে বোলিং করেছেন দুজন। অনুশীলনেও এই লেগ স্পিনারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই টেস্ট অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, জুবায়ের ছুঁতে পারেন আকাশ।
Published : 12 Jun 2015, 07:55 PM
“আমার মনে হয়, জুবায়ের এমন একজন স্পিনার যার ৩০০-৪০০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। সত্যিই আমি এটা বিশ্বাস করি। ওর যে বলগুলি জায়গায় পড়েছে, সব কটাই ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে। লেগ স্পিনগুলোও অনেক টার্ন করছে। অনেক বলই ব্যাটসম্যানরা ধরতেই পারেনি। আমার কাছে মনে হয়, ও অনেক বড় একটা সম্পদ হতে পারে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে।”
৪ উইকেট নিয়ে ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিনের সফলতম বোলার সাকিব। তবে লেগ স্পিনের দারুণ ঝলকানিতে আলো ছড়িয়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার জুবায়ের। এই দুজনের স্পিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে ৬ উইকেট হারিয়েছে ভারত। দিনশেষে তাদের রান ৬ উইকেটে ৪৬২।
অথচ এই জুবায়ের পাকিস্তান সিরিজে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না ঘরোয়া ক্রিকেটেও। ঘরোয়া দলগুলোর টিম ম্যানেজমেন্টের দাবি ছিল, নেটে ভালো বোলিং করছিলেন না জুবায়ের। শুনে হাসলেন সাকিব।
“নেট দেখে সবসময় বোঝা যায় না। নেটের ব্যাটিং দেখলে অনেককে মনে হতে পারে শচিন টেন্ডুলকার, আবার অনেককে মনে হবে রুবেল হোসেন। এখানে একটা পার্থক্য আছে। ম্যাচের পারফরম্যান্সই বড় ব্যাপার।”
প্রতিভাবান এই লেগ স্পিনারকে যেভাবে সামলানো হচ্ছে, তাতে সাকিবের কণ্ঠে বিরক্তির প্রকাশ স্পষ্ট; ঝরল আক্ষেপও।
“সত্যি বলতে জুবায়েরের জন্য কাজটা কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর তো মাঠেই নামেনি। বিসিএলে-প্রিমিয়ার লিগে ও যদি খেলার সুযোগ না পায়, তা ওর জন্য যেমন খারাপ, দেশের ক্রিকেটের জন্যও খারাপ। যারা আমাদের এই জিনিসগুলো দেখাশোনা করেন, তাদের সিরিয়াসলি এই জিনিসটা দেখা উচিত। আরও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা উচিত ওর জন্য।”
ম্যাচ এত কম খেলার পরও যে এত ভালো বোলিং করেছেন জুবায়ের, তাতেই বিস্মিত সাকিব।
“একজন লেগ স্পিনারের বিপক্ষে হুট করে টেস্ট ম্যাচে নেমে বল করা কঠিন। তাও আবার এত বড় দলের বিপক্ষে। ছন্দ পেতেই তো সময় লাগে। আত্মবিশ্বাস থাকে না। ওর বল যে জায়গায় পড়েছে, এতে আমি অবাক হয়েছি! এতে প্রমাণ হয় ওর সামর্থ্যও।”