জেপি ডুমিনির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে ৪ রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে তারা।
Published : 18 Apr 2015, 08:43 PM
শনিবার বিশাখাপত্তমে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৭ রান করে দিল্লি। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬৩ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে প্রথম ধাক্কা খায় দিল্লি। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ার ও জেপি ডুমিনির দুটি অর্ধশতকে বড় সংগ্রহের দিকে এগোয় দিল্লি।
আইয়ার ৩টি চার ও ৫টি ছয়ে ৪০ বলে ৬০ রান করেন। আর ডুমিনির ৪১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি ৫টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। এ দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ বলে ৭৮ রান ওঠে।
এরপর কেউ আর ভালো ইনিংস খেলতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে দিল্লি।
হায়দরাবাদের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন প্রভিন কুমার, ডেল স্টেইন, আশিষ রেড্ডি ও ভুবনেশ্বর কুমার।
ব্যাটের মতো বল হাতেও ভালো করেন ডুমিনি। তিন ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ম্যাচসেরা এই অলরাউন্ডার।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা হায়দরাবাদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ডুমিনি।
ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ানের জমে ওঠা উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি ইনিংসের সপ্তম ওভারে। ১৮ বলে ১৮ রান করা ধাওয়ানকে বোল্ড করেন ডুমিনি। এরপর ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান ২৮ রান করা অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারকে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রবি বোপারা লোকেশ রাহুলকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু রাহুলকে ম্যাথিউস ফেরানোর পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বোপারাকে আউট করে হায়দরাবাদকে বিপদে ফেলেন ডুমিনি।
পেণ্ডুলামের কাটার মতো দুলতে থাকা ম্যাচটি শেষ ১৯তম ওভারে যায় পঞ্চাশ-পঞ্চাশ সম্ভাবনা নিয়ে। হাতে ৪ উইকেট থাকা দলটির তখন ১২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩ রানের।
ম্যাথিউসের করা ৪৯তম ওভারটিতে ১৩ রান নেন রেড্ডি ও কর্ণ শর্মা।
শেষ ওভারটি করেন নাথান কোল্টার-নাইল। প্রথম বলে এক রান নেন কর্ণ। দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন রেড্ডি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি সিঙ্গেল হলে শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ৭ রানের প্রয়োজন পড়ে হায়দরাবাদের। পঞ্চম বলে ২ রান হয়। ওভারের শেষ বলটিতে ৬ মারতে পারলেই জিতত হায়দরাবাদ। কিন্তু আউট হয়ে যান কর্ণ। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এই একটি মাত্র উইকেটই পান কোল্টার-নিল।