ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর ভারত দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
Published : 18 Aug 2014, 03:38 PM
ইংল্যান্ডের কাছে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ইনিংস ও ২৪৪ রানের হারে সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে ভারতের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানটা আরেকটু বাজে হলো। সবশেষ ১৯ টেস্টের মাত্র একটিতে কেবল জেতে ভারত।
এই ম্যাচের পর কঠিন এক প্রশ্নই শুনতে হয় ভারত অধিনায়ককে। দলকে তার সাধ্যমতো টেনে নিয়ে যেতে পারলেন কিনা প্রশ্নে ধোনির দেয়া উত্তরে তার অবসরের ইঙ্গিত মিশে ছিল।
"হয়ত হ্যা। অপেক্ষা করুন এবং লক্ষ রাখুন। আমি যথেষ্ট শক্তিশালী, নাকি তা নই; এটা জানতে হলে আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতকে শিরোপা এনে দেয়ার পরের বছর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পান ধোনি। ৩৩ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ভারতকে রেকর্ড ৫৮ টেস্টে নেতৃত্ব দেন। রেকর্ড ২৭টি জয়ও পান।
ধোনির নেতৃত্ব দেয়া প্রথম ১৩টি সিরিজের একটিতেই মাত্র হারে ভারত। টানা ৮টি টেস্ট জিতে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ওঠে তারা। ২০০৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০১১ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত শীর্ষে থাকে ভারত।
ইংল্যান্ডের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে এক নম্বর থেকে নেমে যায় ভারত। আর এই হারেই দেশের বাইরে ভারতের বাজে সময়ের শুরু হয়।
এই বাজে সময়ে আরেকটি অধ্যায় যোগ হলো এবারের ইংল্যান্ড সফরে। সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যাওয়ার পরও ধোনির দল সিরিজ জিততে পারেনি। ওভালে সবশেষ টেস্টটি জিততে পারলে অবশ্য সিরিজ ড্র করে ফিরতে পারত ভারত।
সিরিজ নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচেও ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা পেতে হয়েছে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে। ধোনি বললেন সব বিভাগেই অসহায় আত্মসমর্পণের কথা।
"শেষ তিনটি টেস্টে আমরা নিজেদের সামর্থ্য পূরণ করতে পারিনি। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারিনি।"
ওভাল টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাসটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে উল্লেখ করেন ধোনি।
"আজ আমাদের ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এটা হতাশার।"