ওয়ানডেতে সব ওভার ব্যাটিং করতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এর পক্ষে বাজি ধরলে এখন জেতার সম্ভাবনাই বেশি। অন্তত তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে তেমনটা বলাই যায়। নিকোলাস পুরান, শেই হোপদের এই বিফলতা ভীষণ পোড়াচ্ছে দলটির প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে। ৫০ ওভারের পুরোটা খেলাই তাই ব্যাটিং বিভাগের কাছে তার মূল চাওয়া।
Published : 21 Jul 2022, 06:40 PM
ঘরে-বাইরে কোথাও ব্যাটিং ব্যর্থতার এই বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না ক্যারিবিয়ানরা। সবশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের একটিতেও তারা খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার। তাদের সংগ্রহ একবারও স্পর্শ করেনি ২০০।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন ওয়ানডেতে নিজেদের খুঁজে ফিরছে। এই সময়ে ৩৯ ইনিংসের স্রেফ ৬টিতে তারা খেলতে পেরেছে ৫০ ওভারের পুরোটা। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলাফলেও। সবশেষ বিশ্বকাপের পর খেলা ১৩ ওয়ানডে সিরিজের ৯টিই হেরেছে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যর্থতার এই ধারার এবার শেষ দেখতে চান সিমন্স। ভারতের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে শুক্রবার। এর আগে দলের ব্যাটিং বিভাগের করণীয় বাতলে দিলেন তিনি।
“মূল বিষয় হলো, কীভাবে আমরা ৫০ ওভার ব্যাটিং করব…আমাদের ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে হবে, ইনিংস গোছাতে হবে এবং জুটি গড়ে তুলতে হবে। কাউকে সেঞ্চুরি করতে হবে এবং দলের হাল ধরে রাখতে হবে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে এটাই করণীয়।”
ক্যারিবিয়ায় সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশের বোলাররা যে পিচে ছড়ি ঘোরান, সেখানে ব্যর্থ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজটিতে হোয়াইটওয়াশড হয় তারা। তবে এখানে বোলিং কিংবা ফিল্ডিং বিভাগের খুব একটা ঘাটতি চোখে পড়েনি সিডন্সের।
“বোলিং ও ফিল্ডিং বিভাগে আমরা প্রতিদিন উন্নতি করছি। ফিল্ডিংয়ে আমরা নিজেদের ওপরের সারিতে দেখি। আর বোলিংয়ে, গত কয়েকটি ম্যাচ আমরা যে পিচে খেলেছি, লোকে বলতে পারে আমাদের আরও উইকেট নেওয়া উচিত ছিল। তবে আমরা যখন ফিল্ডিং করেছি উইকেট কেবলই ভালো হয়েছে।”