টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে ছিলেন দলে নিয়মিতদের একজন। এরপর থেকে আর সুযোগই হচ্ছে না জাতীয় দলে। হুট করে বাদ পড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ইমাদ ওয়াসিম। পাকিস্তানের স্পিনিং অলরাউন্ডার বললেন, সংশ্লিষ্টদের কাছে কারণ জানতে চেয়ে যৌক্তিক কোনো উত্তর পাননি তিনি।
Published : 10 Jul 2022, 04:56 PM
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া ২০ ওভারের বৈশ্বিক আসরে পাকিস্তানের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলেন ইমাদ। একটি ম্যাচে কেবল ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান তিনি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে করেন ১১ রান।
বোলিং করেন প্রতি ম্যাচেই। বাঁহাতি স্পিনে ২৮.৫০ গড়ে নেন ৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের হয়ে ওভারপ্রতি সবচেয়ে কম ৫.৭০ করে রান দেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ সফরের দলেও। কিন্তু সুযোগ পাননি কোনো ম্যাচ খেলার।
এরপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের দলে আর জায়গা হয়নি ইমাদের। আগামী মৌসুমের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও রাখা হয়নি ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে রোববার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমাদ বলেন, বাদ পড়া নিয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেনি পিসিবি।
“(টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের পর থেকে আমি একটি ম্যাচও খেলিনি। সত্যি বলতে, এর কারণ আমার জানা নেই। কোনো যুক্তি ও কারণ আমাকে দেখানো হয়নি। আমি তাদের (নির্বাচকদের) ওপর অসন্তুষ্ট। তবে যা হয়েছে, হয়েছে কারণ এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।”
নিজে থেকে কারণ জানতে চেয়ে ঠিকমতো সাড়াও পাননি তিনি।
“চুক্তি ও দল ঘোষণার পর আমাকে নিজে থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছে কারণ জানার জন্য। মাঝেমধ্যে তারা সাড়া দিয়েছে, মাঝেমধ্যে দেয়নি।”
নির্বাচকদের পক্ষ থেকে পরে যে কারণ দেখানো হয়েছে তা মানতে পারছেন না ইমাদ। তার মতে, সংশ্লিষ্টদের দেওয়া যুক্তিগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
“দলে ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কিত একটি কারণ তারা আমাকে দেখিয়েছে। আমার মনে হয় না, দলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলি আমি। বিশ্বের অনেক লিগে খেলি আমি এবং যখনই কোনো দলের হয়ে খেলেছি, তারা আমাকে আবারও দলে নিতে চেয়েছে। এখানেই তো বোঝা যায়, আমি দলে কোনোরকম নেতিবাচক প্রভাব ফেলি না। আমাকে দলে না নেওয়ার তাদের প্রথম কারণটি এতেই অগ্রহণযোগ্য হয়ে যায়।”
“ফিটনেস সমস্যার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সত্যটা বলতে হবে। যেভাবে আমি সবসময় মর্যাদা ও গর্ব নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছি, তাতে আমি অনেক গর্ববোধ করি। বাদ পড়ার কারণ শুনে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তবে এবার খুবই অদ্ভুত লাগছে, তাদের কারণগুলো একই।”
পাকিস্তানের হয়ে কেবল সাদা বলের ক্রিকেটই খেলেন ইমাদ। এখন পর্যন্ত ৫৫ ওয়ানডেতে ৪২.৮৬ গড় ও ৫ ফিফটিতে রান করেছেন ৯৮৬। এই সংস্করণে ৪৪.৪৭ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ৪৪টি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি ৫৮টি। ১৪৩.৬৪ স্ট্রাইক রেটে রান ৩৩৯। ওভারপ্রতি ৬.৩৩ রান দিয়ে উইকেট ৫৫টি। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার মনে করেন, দল নির্বাচন করা উচিত সামর্থ্যের ভিত্তিতে।
“একজন ক্রিকেটারকে কেন বাদ দেওয়া উচিত বা কেন তাকে দলে নেওয়া উচিত, এর পেছনে আমি একশটি যুক্তি দিতে পারি। আমি কেবল চাই, পাকিস্তানের দল নির্বাচন যেন খেলোয়াড়দের সামর্থ্য বিবেচনায় এবং ক্রিকেটাররা পাকিস্তান ক্রিকেটকে কতটা প্রাধান্য দেয়, তারা তাদের সবকিছু উজার করে দিয়েছে কি-না, এসবের ওপর ভিত্তি করে হয়।”