অনেক দিন ধরে কঠিন সময় পার করছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারেনি দলটি। অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে হলেও তাদের পেরুতে হবে বাছাই পর্বের বাধা। জুলাইয়ে হতে যাওয়া বাছাইয়ের আগে সাবেক অধিনায়ক ডেভ হাটনকে কোচ হিসেবে বেছে নিল দেশটি।
Published : 15 Jun 2022, 01:51 AM
সামনে বাছাইয়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচে হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশড হয় তারা। হারারেতে মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারের দিনই নতুন প্রধান কোচ হিসেবে হাটনের নাম ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।
৬৪ বছর বয়সী হাটন ভারতীয় কোচ লালচাঁদ রাজপুতের স্থলাভিষিক্ত হবেন। রাজপুত এখন থেকে হয়তো টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাবেন বলে ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত মার্চে রাজপুতের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এখন কোচিং স্টাফ নতুন করে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগেই দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনারকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে কোচিং স্টাফে ফিরিয়েছে তারা।
হাটনকে নিয়োগ দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আশা প্রকাশ করেন, মাঠের পারফরম্যান্সে উন্নতি করবে দল।
জিম্বাবুয়ের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হাটন নব্বই দশকের শেষ দিকেও জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার কোচিংয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দলটির পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। গ্রুপ পর্বে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পাওয়া দলটি উঠেছিল আসরের সুপার সিক্সে।
ডার্বিশায়ার, মিডলসেক্সসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন কাউন্টি দলেও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে হাটনের।
১৯৯২ সালে হাটনের নেতৃত্বেই ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ টেস্ট ও ১৭ ওয়ানডেতে দলকে তিনি নেতৃত্ব দেন।
২২টি টেস্ট ও ৬৩টি ওয়ানডে খেলেছেন হাটন। টেস্টে ৪৩.০৫ গড়ে তার রান এক হাজার ৪৬৪। ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বুলাওয়ায়োতে তার ২৬৬ রানের ইনিংসটি জিম্বাবুয়ের পক্ষে এখনও টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ওয়ানডেতে ২৬.৩৭ গড়ে করেছেন এক হাজার ৫৩০ রান।