সবশেষ বিপিএলে রান পাওয়া এনামুল হকের ব্যাট হাসল আরও একবার। ইনিংস শুরু করতে নেমে এই কিপার-ব্যাটসম্যান করলেন ফিফটি। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে নিজেকে মেলে ধরলেন মেহেদি হাসান। ১৩ বছর পর শীর্ষ লিগে ফেরা সিটি ক্লাবকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
Published : 15 Mar 2022, 05:49 PM
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী দিনে মঙ্গলবার ৫০ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ২৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দিয়েছে ২১৫ রানে।
৬০ রানের ইনিংস খেলেন এনামুল। বিপিএলে তিনটি চল্লিশোর্ধ ইনিংস ছিল তার, করেছিলেন একটি ফিফটিও। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেরেন শামসুর রহমান ও অলক কাপালী।
এক ছক্কা ও ২ চারে ১৬ বলে ২৭ রান করেন মেহেদি। পরে অফ স্পিনে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকায় আট খেলোয়াড় নেই প্রাইম ব্যাংকের। একাদশ সাজানোই কঠিন দলটির জন্য। টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে ওপেনিংয়ে তারা এনামুলের সঙ্গে পাঠায় শাহাদাত হোসেনকে। যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটসম্যান ফেরেন দ্রুত।
সেই ধাক্কা সামাল দেয় এনামুল ও অভিমন্যু ইশ্বরনের জুটি। ৩০ রান করা ভারতীয় অভিমন্যুর বিদায়ে ভাঙে ৪৪ রানের প্রতিরোধ।
এরপর নাসির হোসেনকে নিয়ে দলকে টানেন এনামুল। সম্ভাবনা জাগিয়েও এই জুটি যেতে পারেনি বেশিদূর। ৬৪ বলে পঞ্চাশ করা এনামুল ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৬০ রান করে হন বোল্ড।
লং-অফে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৩২ রান করা নাসির। এরপর ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি পায় প্রাইম ব্যাংক। ৬৪ বলে ৭১ রানের এই জুটিতে সমান তালে রান তোলেন শামসুর ও কাপালী। ৩ চারে ৪৫ রানে শেষ হয় শামসুরের ইনিংস। কাপালী ২ ছক্কা ও এক চারে করেন ৪০।
শেষ দিকে মেহেদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আড়াইশ পার করে প্রাইম ব্যাংক।
সিটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন আব্দুল হালিম, আমিনুর রহমান ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
রান তাড়ায় সিটি ক্লাবের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি দুই ওপেনারের কেউই। রকিবুল হাসানের বলে মেহেদির হাতে ধরা পড়েন ২৯ রান করা তৌফিক খান।
এরপর মেহেদি দেখান তার বল হাতে ঝলক। চার ওভারের মধ্যে ধরেন তিনটি শিকার। এই অফ স্পিনার এলবিডব্লিউ করে দেন ওপেনার শাহরিয়ার কমলকে। মইনুল ইসলামের স্টাম্প করেন এলোমেলো। মেহেদির স্পিনে কট বিহাইন্ড হন আশিক উল আলম।
নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে কিছুক্ষণ টানেন মইনুল ইসলাম সোহেল ও জাওয়াদ রুয়েন। ৩১ করে মইনুল সোহেল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ৩৭ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে যান অধিনায়ক রুয়েন।
তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা। কোনোমতে তাই দুইশ পেরিয়েই থেমে যায় দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (এনামুল ৬০, শাহাদাত ৫, অভিমন্যু ৩০, নাসির ৩২, শাসমুর ৪৫, কাপালী ৪০, মেহেদি ২৭, নাহিদুল ৭, রবিউল ৭*, রুবেল ২*; হালিম ১০-০-৬৬-২, আমিনুর ৮-০-৪২-২, রাজিবুল ৮-০-৩৬-১, মইনুল ১০-০-৪১-১, মইনুল সোহেল ৪-০-২৯-০, আল মামুন ১০-০-৪৮-২)
সিটি ক্লাব: ৪৫.২ ওভারে ২১৫ (কমল ২৩, তৌফিক ২৯, মইনুল ১৫, আশিক ৯, মইনুল সোহেল ৩১, নাজমুল মিলন ১৩, রুয়েন ৩৭*, আল মামুন ৭, রাজিবুল ২৬, আমিনুর ১, হালিম ১৬; রুবেল ৬-০-২৩-০, রবিউল ২.২-০-২০-০, নাহিদুল ৯-১-৪৭-১, রকিবুল ১০-০-৪৫-২, মেহেদি ১০-০-৫৩-৩, নাসির ১-০-৭-০, কাপালী ৭-১-১৭-২)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৫০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি হাসান