ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক, নির্বাচক ও কোচ রে ইলিংওয়ার্থ আর নেই। ক্যান্সারের কাছে হার মেনে তিনি মারা গেছেন ৮৯ বছর বয়সে।
Published : 25 Dec 2021, 09:07 PM
খাদ্যনালীর ক্যান্সারের জন্য রেডিওথেরাপি চলছিল ইলিংওয়ার্থের। শনিবার টুইটারে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ার। তার নেতৃত্বে ১৯৬৬ থেকে তারা জিতেছিল টানা তিনটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ।
ইলিংওয়ার্থ ছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৬১ টেস্ট। দুই সেঞ্চুরিতে ২৩.২৪ গড়ে রান ১ হাজার ৮৩৬। হাত ঘুরিয়ে উইকেট ১২২টি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট আছে তিনবার।
ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি ৩১ টেস্টে। জয় যেখানে ১২টি। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া থেকে অ্যাশেজ সিরিজ জিতে ফিরেছিল ইংল্যান্ড।
ইলিংওয়ার্থ ওয়ানডে খেলেছেন ৩টি। যেখানে রান কেবল ৫। উইকেট ৪টি। ১৯৭১ সালে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন তিনিই।
তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার ৩২ বছরের। ১৯তম জন্মদিনের দুই মাস পর ১৯৫১ সালে হয়েছিল অভিষেক। যার শেষটা হয় ১৯৮৩ সালে ৫১ বছর বয়সে।
ইয়র্কশায়ারে তিনি কাটান সফল অধ্যায়। দলটির হয়ে ১৯৫৯ থেকে নয় বছরের মধ্যে জেতেন সাতটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ।
সব মিলিয়ে ৭৭৮ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৮.০৬ গড়ে তার রান ২৪ হাজার ১৩৪। সেঞ্চুরি ২২টি। ২০.২৭ গড়ে উইকেট ২ হাজার ৭২টি।
পরে তিনি ধারাভাষ্য দেন টেলিভিশনে। ১৯৯৩ সালে হন ইংল্যান্ড দলের নির্বাচকদের প্রধান, যে দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৬ পর্যন্ত। এর মাঝেই ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত দলটির কোচ হিসেবে কাজ করেন তিনি।
ইলিংওয়ার্থ যখন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন, দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কর্তৃত্ব চাইতেন। কিন্তু যখন তিনি নিজে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন, অধিনায়ক মাইকেল আথারটনকে একই সুযোগ দিতেন না। এতে দুজনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এই বছরের শুরুতে মারা যান ইলিংওয়ার্থের স্ত্রী। বছরের শেষে এসে তিনি নিজেও পরপারে পাড়ি জমালেন।