জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু করে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত আট ম্যাচে একবারও ৫ ওভার টিকতে পারেনি বাংলাদেশের শুরুর জুটি। ব্যর্থতার সেই ধারা শুক্রবার শেষ হয় লিটন ও নাঈমের সৌজন্যে।
লিটন অবশ্য শূন্য রানে বেঁচে যান সহজ ক্যাচ দিয়ে। এরপর ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৯ বলে ৩৩ রান করে লিটনের বিদায়ে দশম ওভারে ভাঙে জুটি। ৩৯ বলে ৩৯ করে নাঈম আউট হন ষোড়শ ওভারে।
বাংলাদেশ ২০ ওভারে তুলতে পারে ১৪১ রান। মিরপুরে সবশেষ ১৬ ইনিংসের মধ্যে যা দলীয় সর্বোচ্চ রান।
উইকেট যদিও এই ম্যাচে তুলনামূলক ভালো ছিল বেশ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে ধরলে, সেরা ব্যাটিং উইকেট ছিল এই ম্যাচেই। তবে শুরুতে কাজটা কঠিন ছিল উইকেটের ধরনের কারণেই। মাহমুদউল্লাহ এখানেই বাড়তি কৃতিত্ব দিলেন দুই ওপেনারকে।
“নতুন বলে ব্যাটিং করাটা অনেক কঠিন, এই উইকেটে। যখন বলের সিম শক্ত থাকে, ওই সময় বেশ বাউন্স হয়, কয়েকটা বল স্কিড করে, কিছু বল খুব শার্প স্পিন করে। আমার মনে হয়, নাঈম ও লিটন খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।”
“আমাদের যেরকম শুরু দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, পারফেক্ট শুরু করে দিয়েছে। ওরা খুব ভালো ব্যাট করেছে, শুরুতে আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। এরপর মাঝে আমাদের কয়েকটা ভালো জুটি হয়েছে এবং আমরা ১৪০ পেরিয়েছি। এই উইকেটে যা বেশ ভালো সংগ্রহ।”
শুরুতে বড় শট খেলার চেষ্টা করলে বিপদ হতেও পারত। সেসময় লিটন ও নাঈম যেভাবে ব্যাট করেছেন, অধিনায়ককে তা দিয়েছে বাড়তি তৃপ্তি।
“অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এবং এই সিরিজেও নতুন বলে ব্যাট করাটা খুব কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যখন খেলেছি, ওদের ওপেনিং জুটি খুব একটা সফল হয়নি। আমাদের হয়তো একটা ম্যাচে কিছুটা ভালো হয়েছে, কিছু ম্যাচে ভালো হয়নি। কিন্তু আজকে লিটন ও নাঈম যে ইনিংস খেলেছে, তা দেখাটা ছিল সন্তুষ্টির। যেভাবে তারা গ্যাপ বের করেছে এবং রান তুলেছে, তা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”