জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে থাকা লঙ্কান ত্রয়ীর সামনে অপেক্ষা করছে বড় শাস্তি। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কুসল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা ও নিরোশান ডিকভেলার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করেছে।
Published : 30 Jul 2021, 12:58 AM
গত জুনে ইংল্যান্ড সফরে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙ্গেন এই তিন ক্রিকেটার। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাদের। সেই সময় থেকেই খেলার বাইরে আছেন তারা।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, মেন্ডিস ও গুনাথিলাকাকে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কিপার-ব্যাটসম্যান ডিকভেলার জন্য শাস্তির মেয়াদ কিছুটা কম, ১৮ মাস।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের কথা রয়েছে যেখানে শাস্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দুইজন বোর্ড অফিশিয়াল জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ করা কঠোর শাস্তি বোর্ড অনুসরণ করবে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।
তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সচিব মহন ডি সিলভা জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করবেন তারা। শাস্তি চূড়ান্ত করার আগে তিন খেলোয়াড় কিংবা টিম ম্যানজমেন্টের সঙ্গে কথা বলারও আভাস দিয়েছেন তিনি।
গত বছর জুলাইয়ে ভোরে একটি বিয়ে থেকে ফেরার সময় কলম্বোতে মেন্ডিসের গাড়ির ধাক্কায় ৭৪ বছর বয়সী এক পথচারী মারা যান। পুলিশ তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে আটকও করে। সেই ঘটনায় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেন্ডিসকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশে এই ঘটনাও বিবেচনায় এনেছে কমিটি।
অন্যদিকে গুনাথিলাকা এমন গুরুতর কিছু না করলেও ইতিমধ্যেই দুইবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি ভোগ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীন মধ্যরাতের কারফিউ ভাঙা। তাতে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
কিপার-ব্যাটসম্যান ডিকভেলার বিরুদ্ধে এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসেনি কিংবা তাকে মেন্ডিসের মত কখনও আটক করা হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকে। যেখানে সুরক্ষা বলয়ের বাইরে ডারহামের সিটি সেন্টারে দেখা যায় মেন্ডিস, গুনাথিলাকা ও ডিকভেলাকে। আগেই স্পষ্ট করে এই জায়গায় যেতে সফরকারী দলের ক্রিকেটারদের বারণ করা হয়েছিল। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে বলয় ভাঙার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কা।
সে সময় বোর্ড প্রধান শাম্মি সিলভা বলেছিলেন, তিন ক্রিকেটারের সামনে ৬ থেকে ১৮ মাসের নিষিধাজ্ঞা অপেক্ষা করছে।