‘একটু ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেন সব ভয় কেটে গেল। মাইক্রোফোন হাতে আমরা উঠে গেলাম মঞ্চে। আমাদের সামনে বসে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’
Published : 04 May 2024, 09:46 PM
ছোটবেলা থেকেই ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের নাম শুনে আসছি। এবার আমি সেই অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানের একটা অংশ সঞ্চালনা করার সুযোগ পাই। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করলেও এটি আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।
আমার সঙ্গে সহ-সঞ্চালক ছিলেন হ্যালোর আরেক শিশু সাংবাদিক আনিকা আকরাম অর্পি আপু। আমরা ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই সঞ্চালনার জন্য চর্চা শুরু করি। সেটা চলে অনুষ্ঠানের আগের দিন পর্যন্ত। আমাদেরকে চর্চার জন্য ইউনিসেফের দপ্তরেও বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে।
আমাদের কয়েকদিনের দিনলিপি হয়ে গিয়েছিল শুধুই উপস্থাপনা। আর এই পুরো যাত্রায় সঙ্গী ছিল হ্যালো। আমাদের দুজনকে শতভাগ প্রস্তুত করে তুলতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কী প্রয়াস তাদের, যা ব্যাখ্যা করার মতো না।
এই অনুষ্ঠানের জন্য নিজেকে তৈরি করতে গিয়ে প্রতিদিন উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গিসহ উপস্থাপনার নানা খুঁটিনাটি বিষয় শিখতে পেরেছি। যা ছিল আমার জন্য বড় এক অর্জন।
আমার বাবা-মা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তারা আমাকে ইউনিসেফের দপ্তরে ও অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাওয়া-আসা, বাসায় আমার সঞ্চালনা শোনাসহ সবকিছুতেই সহযোগিতা করেছেন।
সঞ্চালক অর্পি আপুও আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। প্রতিদিন চর্চার মাঝে আমরা একে-অপরের ভুল ধরিয়ে দিতাম। আপুর সঙ্গেও চমৎকার কাজের স্মৃতি তৈরি হয়েছে।
সব জল্পনা-কল্পনা শেষে ক্যালেন্ডারের পাতায় আসে ২২ এপ্রিল। অর্থাৎ আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। মহাযজ্ঞ শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। কিন্তু আমরা দুপুরের অনেক আগেই পৌঁছে যাই ভেন্যুতে।
সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমরা বেশ কয়েকবার রিহার্সেল করেছি। একটু ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেন সব ভয় কেটে গেল। মাইক্রোফোন হাতে আমরা উঠে গেলাম মঞ্চে।
আমাদের সামনে বসে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তাদের সামনে বেশ সাবলীল ভাবেই আমরা সঞ্চালনা করেছি। আমাদের এই অল্প বয়সে এত বড় মানুষদের সামনে সঞ্চালনা করতে পেরে আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়ে গেছে। যা আমার বাকি জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে বলে মনে করি। এত বড় সুযোগ করে দেওয়ার জন্য হ্যালো ও ইউনিসেফের প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।