কাইল মিলসের স্টাম্প উপড়ে আঙুল উঁচিয়ে দ্বিগ্বিদিক সেই দৌড়। জয়ের উল্লাস। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথমবার হোয়াইওয়াশ বাংলাদেশের। সাল ২০১০। আগুনে বোলিংয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট। নিউ জিল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করার শুরু। সাল ২০১৩। সময়ের পরিক্রমায় এরপর পেরিয়ে গেছে বছরের পর বছর। তবে কিউইদের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজের সেই পারফরম্যান্সগুলো এখনও উজ্জীবিত করছে রুবেল হোসেনকে।
Published : 14 Mar 2021, 07:05 PM
৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন নিউ জিল্যান্ডে। দীর্ঘদিন দলের পেস আক্রমণ সামলানো মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন নেই দলে। এই সফরে নেই সাকিব আল হাসানও। দলের অভিজ্ঞতম ওয়ানডে বোলার এবার রুবেল।
নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে রুবেলের সুখস্মৃতিও আছে বেশ। কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সফলতম পেসার তিনিই (১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট)।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম মনে করিয়ে দিলেন রুবেলের সেই সাফল্যমাখা সময়টার কথা। রুবেলও বললেন, সেসবকে সঙ্গী করেই উজার করে দিতে চান নিজেকে।
“আমি যদি সুযোগ পাই, আমার শতভাগ দেব। সঙ্গে আমার ভালো স্মৃতিগুলো, কীভাবে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো খেলেছিলাম, চেষ্টা করব নিজের মাথায় নেওয়ার জন্য। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন খুব ভালো করতে হবে। আমার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করব।”
নিউ জিল্যান্ড সফরে অবশ্য রুবেলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। ৫ ওয়ানডেতে এখানে তার ৫ উইকেট ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ৬ করে রান দিয়ে। ৩ টি-টোয়েন্টিতে যদিও উইকেট নিয়েছেন ৭টি, তবে গুনেছেন ওভারপ্রতি ৯ রানের বেশি।
এবার এখানেও তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী। নিজের পাশাপাশি সতীর্থদের করণীয় তিনি তুলে ধরলেন।
“নিউ জিল্যান্ডে তো এর আগেও অনেক এসেছি। এখানকার কন্ডিশনে আসলে বোলিং করতে ভালো লাগারই কথা। উইকেট সুন্দর থাকে, স্পোর্টিং থাকে। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক, কিন্তু বোলাররা যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারে পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমার কাছে মনে হয়, বোলারদের জন্যও ভালো হবে।”