হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
Published : 24 Sep 2020, 04:57 PM
আইপিএলের ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করায় তিনি ছিলেন ভারতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয় বলে স্টার ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ক্যারিয়ারে ব্যাটসম্যানশিপের নতুন এক ধারা উন্মোচন করেছিলেন জোন্স। বোলারদের ওপর চড়াও হতে পায়ের দারুণ ব্যবহার করতেন তিনি। ছিলেন অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যে দলের হাত ধরে ১৯৮৭ সালে ইডেন গার্ডেনে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে দেশটি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে জোন্স ১৬৪ ম্যাচে ৪৪.৬১ গড়ে করেন ছয় হাজারের বেশি রান।
দেশের হয়ে ৫২ টেস্টের প্রথমটি খেলেন পোর্ট অব স্পেনে ১৯৮৪ সালে। সেই ম্যাচের দিন সকালে অসুস্থ থাকার পরও অভিষেক ইনিংসে করেন ৪৮ রান, বোর্ডারের সঙ্গে গড়েন ১০০ রানের জুটি। পেট ব্যথার কারণে স্টিভ স্মিথ নিজেকে সরিয়ে নিলে জোন্সকে দলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক কিম হিউজ।
নিজের তৃতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ২১০ রানের ইনিংস খেলেন জোন্স। সব মিলে টেস্টে ৪৬.৫৫ গড়ে ১১ সেঞ্চুরিতে তার রান তিন হাজার ৬৩১। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫১.৮৫ গড়ে করেন ১৯ হাজার ১৮৮ রান; ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস অপরাজিত ৩২৪, ভিক্টোরিয়ার হয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে।
১৯৯৮ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া জোন্স কোচ ও ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে দেশের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেম-এ জায়গা দেওয়া হয়।
বিপিএলের প্রথম আসরে চিটাগং কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করা জোন্স কমেন্টেটর ও ব্রডকাস্টার হিসেবে নিখুঁত বিশ্লেষণী ক্ষমতার জন্য পান ‘দা প্রফেসর’ তকমা। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচিতও হয়েছেন তিনি; ২০০৬ সালে হাশিম আমলাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় তার চুক্তি বাতিল হয়। ‘অনুতপ্ত’ জোন্স পরে ফেরেন পাকিস্তান সুপার লিগের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে। প্রতিযোগিতার প্রথম তিন আসরে দুইবার শিরোপা জেতে জোন্সের ইসলামাবাদ।