বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় নানা আয়োজনে সামিল হচ্ছে ক্রিকেটও। এশিয়া অল স্টার ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করবে বিসিবি। ম্যাচ দুটির আয়োজনের অনুমোদন ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা দিয়েছে আইসিসি। আগামী মার্চে দুটি ম্যাচই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
Published : 24 Jul 2019, 06:57 PM
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর তার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে এর মধ্যেই ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
দেশের জনপ্রিয়তম খেলা ক্রিকেটকেও সেই আয়োজনের অংশ করে নিচ্ছে বিসিবি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন তাদের পরিকল্পনায় আইসিসিকে পাশে পাওয়ার কথা।
“বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজনের পরিকল্পনা আমরা করেছিলাম, সেটি নিয়ে আমরা আইসিসির কাছে আবেদন করেছিলাম (আন্তর্জাতিক মর্যাদার জন্য। আইসিসির আইনে আছে (প্রদর্শনী ম্যাচে), কোনো দেশ সম্পৃক্ত থাকলেই কেবল তারা আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেয়। যেমন বিশ্ব একাদশ ও পাকিস্তানের ম্যাচে দিয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা এশিয়া অল স্টার ও বিশ্ব একাদশের ম্যাচ। কোনো নিয়মেই এটি পড়ছিল না।”
“আমাদের আবেদনের পর তারা এটি আইসিসি বোর্ডে উপস্থাপন করেছে। সেখানে বিশদ আলোচনার পর প্রতিটি বোর্ড সদস্য আমাদের আবেদনকে সমর্থন করেছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ম্যাচ দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পাবে।”
এক সময় আফ্রো-এশিয়া কাপের দুটি আসর আয়োজিত হয়েছিল, যেটিতে তিন ম্যাচ সিরিজে মুখোমুখি হতো এশিয়া ও আফ্রিকা একাদশ। সেটি ছিল ওয়ানডে সিরিজ, কোনো দেশ সম্পৃক্ত না থাকলেও পেয়েছিল আন্তর্জাতিক মর্যাদা। আইসিসির বর্তমান আইনে সেটির সুযোগ আর নেই বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বিসিবি সভাপতি জানালেন, বাংলাদেশের এই আয়োজনের পর ভবিষ্যতে আর এমন কিছুর আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেবে না বলে জানিয়েছে আইসিসি।
“অনুমোদনের পাশাপাশি আরেকটি কথা তারা জুড়ে দিয়েছে, যেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। এটাকে রেফারেন্স হিসেবে দেখিয়ে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন কিছু করতে পারবে না। এটা বিশেষ ব্যবস্থায় করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য আইসিসির প্রতিটি বোর্ড সদস্যের এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের দেশের জন্য বড় পাওয়া।”
বিসিবি সভাপতি জানালেন, আগামী ১৮ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে যে কোনো দুই দিন ম্যাচ দুটি হবে। ওই সময় দুটি দেশ ছাড়া অন্য কোনো দলের খেলা নেই। তাই সময়ের সেরা তারকাদেরই আনার চেষ্টা করবে বিসিবি।
“বাংলাদেশ ও বিশ্ব একাদশের খেলাও আয়োজন করা যেত। তবে আমরা চেয়েছি আরও বড় পর্যায়ে করতে। প্রচার যেন ভালো হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার সুযোগ এটি। তাই যত বেশি বাইরের তারকা ক্রিকেটার আসবে, লোকে তত আগ্রহী হবে।”
এই ম্যাচ দুটি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিসিবি দেশজুড়ে প্রতিটি জেলায় ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট উৎসব আয়োজন করবে বলে জানালেন নাজমুল হাসান।