মাত্র এক সিরিজ আগেই ইমরুল কায়েস গড়েছিলেন ইতিহাস। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় জায়গা হারান একাদশে। এবার ছিটকে গেলেন স্কোয়াড থেকেই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, সাম্প্রতিক ফর্ম আর নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় দলে জায়গা হয়নি ইমরুলের।
Published : 23 Jan 2019, 08:00 PM
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ইমরুল করেছিলেন ৩৪৯ রান। খেলেছিলেন ১৪৪, ৯০ ও ১১৫ রানের তিনটি দারুণ ইনিংস। কিন্তু পুরোপুরি নিষ্প্রভ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে করেন ৪, পরের ম্যাচে খুলতে পারেননি রানের খাতা। তৃতীয় ম্যাচে জায়গা হারান একাদশে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিনহাজুল জানান, বিশ্বকাপের জন্য ইমরুল এখনও তাদের পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন।
“বর্তমান ছন্দ ও (নিউ জিল্যান্ডের) কন্ডিশন চিন্তা করে ওকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে ও আমাদের বিশ্বকাপের ৩২ জনের পুলে আছে। নিউ জিল্যান্ড সিরিজে যারা খেলবে না তাদের এখানে প্রন্তুত করা হবে। সামনে আয়ারল্যান্ড সফর আছে। পরপরই হবে বিশ্বকাপ, সুতরাং প্রতিটা খেলোয়াড়কেই দেখভাল করা হবে।”
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিউ জিল্যান্ডে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল। সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সফরেও খুব একটা খারাপ করেননি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডে সিরিজে খেলেছিলেন ১৬, ৫৯ ও ৪৪ রানের তিনটি ইনিংস।
দেশের মাটিতে গত বছরের শেষ দিকে ওয়ানডে সিরিজের আগে মধুর সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। ছন্দে ছিলেন ইমরুল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস। চোট কাটিয়ে ফিরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। স্বাগতিকরা খেলিয়ে দেয় চার ওপেনারকেই। তবে পরিকল্পনা সফল না হওয়ায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এশিয়া কাপে মিডল অর্ডারে বেশ সফল ছিলেন ইমরুল। প্রধান নির্বাচক জানান, নিউ জিল্যান্ডে এই পজিশনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সাব্বির রহমানকে চাওয়ায় ছিটকে যেতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
“টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে চেয়েছে এমন একজনকে যে ছয়/সাত নম্বরে নেমে পেস বোলারদের ভালোভাবে সামলাতে পারবে। সে বিবেচনায় ইমরুলের জায়গায় সাব্বির দলে এসেছে।”