জিম্বাবুয়ের হয়ে লড়াই করলেন কেবল হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখলেন নাগালে। বাকিটা সহজেই সারলেন সৌম্য সরকার। অধিনায়কের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রস্তুতি ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে বিসিবি একাদশ।
Published : 19 Oct 2018, 02:29 PM
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৮ উইকেটে জিতেছে সৌম্যর দল। ১৭৯ রানের লক্ষ্য ৬৬ বল বাকি থাকতে ছাড়িয়ে যায় বিসিবি একাদশ।
অধিনায়ক মাসাকাদজার সেঞ্চুরি আর একটি শতরানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। অতিথিদের মাত্র দুই ব্যাটসম্যান ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক।
প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে বিকেএসপিতে ছিলেন স্টিভ রোডসসহ বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের প্রায় সবাই। তাদের সামনে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো সৌম্য। রান পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেনও।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বিসিবি একাদশের। শুরুতেই রান আউট হয়ে যান মিজানুর রহমান। বেশিক্ষণ টিকেননি আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তিন ম্যাচের সিরিজের দলে থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার অফ স্পিনে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে ধরা পড়েন।
উইকেটের চারপাশে শট খেলে দ্রুত এগিয়েছেন সৌম্য। অন্য প্রান্তে মোসাদ্দেকের শুরুটাও ছিল তার মতোই। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার পর নিজের সব শট খেলতে থাকেন এই তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক। ৪৮ বলে খেলা তার ৩৩ রানের ইনিংসটি গড়া দুটি চার ও একটি ছক্কায়।
দলকে জিতিয়ে ফেরেন সৌম্য। ৫৮ বলে পঞ্চাশে যান তিনি, ১০৯ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ১১৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা আরিফুল হক অপরাজিত ৯ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ছাড়া অতিথিদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে কট বিহাইন্ড করে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত। ডানহাতি এই পেসার পরে ফিরিয়ে দেন শন উইলিয়ামসকে।
৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও চিগুম্বুরা। ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে গড়েন ১২৪ রানের জুটি।
দারুণ এক ইয়র্কারে চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে অতিথিদের প্রতিরোধ ভাঙেন সাইফ। স্বভাব বিরুদ্ধ মন্থর ব্যাটিংয়ে চিগুম্বুরা ৮৩ বলে করেন ৪৭। পরের ওভারে চার বলের মধ্যে তারিসাই মুসাকান্দা, ব্রেন্ডন মাভুটা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে দেন এবাদত।
আফিফ হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে লং অফে ইমরানের হাতে জীবন পাওয়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বোল্ড হয়ে যান ১০২ রান করে। তার ১৩৮ বলের ইনিংসটি গড়া ১৪ চার ও এক ছক্কায়।
মাত্র ৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের ইনিংস থমকে যায় ২৮ বল বাকি থাকতে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী রোববার প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৫.২ ওভারে ১৭৮ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১০২, আরভিন ১, টেইলর ৬, উইলিয়ামস ১, রাজা ৯, মুর ৪, চিগুম্বুরা ৪৭, মুসাকান্দা ০, মাভুটা ০, টিরিপানো ৩, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ০*; এবাদত ৫/১৯, সাইফ ৩/৩২, মোহর ১/১৮, সৌম্য ০/৯, ইমরান ১/২৮, নাঈম ০/৩২, আরিফুল ০/১৪, মোসাদ্দেক ০/১৩, আফিফ ০/১৩)
বিসিবি একাদশ: ৩৯ ওভারে ওভারে ১৮১/২ (মিজানুর ৮, ফজলে রাব্বি ১৩, সৌম্য ১০২*, মোসাদ্দেক অবসর ৩৩*, আরিফুল ৯*; জার্ভিস ০/৯, চাটারা ০/২৪, রাজা ১/২১, এনগারাভা ০/২৫, টিরিপানো ০/১৭, মাভুটা ০/২৬, উইলিয়ামস ০/২০, মিরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ০/৬, নিয়ুম্বু ০/২৭)
ফল: বিসিবি একাদশ ৮ উইকেটে জয়ী