অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি তুমুল আলোচনার প্রসঙ্গ। নতুন করে বলার কারণ শুক্রবার ত্রিদেশীয় ট্রফিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ। এদিন অধিনায়ক সাকিব ছিলেন বিস্ময়কর।
দশম ওভারের প্রথম বলে ৪১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরেরার জুটি শ্রীলঙ্কাকে টেনে নেয় লম্বা সময়। ৬১ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন দুজন।
প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও পরে আর বোলিংয়েই আসেননি সাকিব। দলের আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু তো বোলিংই পাননি! ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কুসল ও থিসারা পেরেরা দারুণ জুটি গড়লেও এই দুজন আর বোলিং করেনি।
কারণটা সবাই জানত। এরপরও আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞেস করা হলো। সাকিব নতুন কিছু শোনাতে পারলেন না।
“দু্ই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্যই বাঁহাতি স্পিনার আনা হয়নি। আমি আশা করেছিলাম আরেকটি উইকেটের। জানতাম একটি উইকেট পেলেই আরও উইকেট আসবে। ওই জুটি ভাঙলেই অপুকে আনতাম বা আমি আসতাম। সেই সুযোগই এলো না। ভাগ্য ভালো আজ কম্বিনেশন ভালো ছিল। মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ খুব ভালো করেছে।”
কারণটা সবাই জানে বলেই এটা নিয়ে প্রশ্নও বেশি। তবে সেই প্রশ্নগুলো পাত্তা দিলেন না সাকিব।
“প্রশ্ন উঠতেই পারে। ম্যাচের পর অনেক কথাই বলা যায়। ক্রিকেটে এসব হয়ই। ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে আমি একশটা সিদ্ধান্ত নিলে সব পক্ষে আসবে না। অধিনায়ক হিসেবে আমার চাওয়া ছিল ওই সময় উইকেট নেওয়া। আমরা সেটিই চেষ্টা করেছি।”