‘উইকেট মন্থর, সময়ের সঙ্গে স্পিন করবে’

একদিন আগেও অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে উইকেট ছিল রহস্যময়। জানতেই পারছিল না কোন উইকেটে হবে খেলা। অবশেষে মিরপুর টেস্ট উইকেট দেখতে পেরেছেন স্মিথরা। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের কাছে উইকেট মনে হচ্ছে মন্থর। তবে উইকেট দেখেও সম্ভাব্য আচরণ নাকি ঠিক অনুমান করতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2017, 10:31 AM
Updated : 27 August 2017, 07:35 AM

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে দুটি উইকেট খোলা রাখা হয়েছিল দেখার জন্য। তবে অনেক চেষ্টা করেও তারা জানতে পারেননি কোন উইকেটে হবে টেস্ট। আগের রাতে একটি অনুষ্ঠানে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে চন্দিকা হাথুরুসিংহের কাছেও উইকেট নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন নাথান লায়ন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারকে কিছুই বলেননি বাংলাদেশ কোচ।

অবশেষে শনিবার অনুশীলনের আগে মিরপুর টেস্টের উইকেট দেখতে পারেন স্মিথ। পরে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, কেমন দেখলেন উইকেট।

“উইকেট দেখেছি। বেশ মন্থর মনে হলো। সময়ের সঙ্গে স্পিনও করবে। আমরা অবশ্য বিস্মিত নই। আমাদের যা দেওয়া হবে, সেটির সঙ্গেই দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আশা করি, প্রথম টেস্টে আমরা ভালো খেলতে পারব।”

উইকেট নিয়ে স্মিথদের রহস্য কাটলেও মুশফিকের কথায় মনে হলো, তার কাছে সেটি এখনও রহস্য।

“আসলে মিরপুরের উইকেট পড়া কঠিন। আবহাওয়া ও কন্ডিশনও ভিন্ন।  যদিও আমরা অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি, তারপরও উইকেট নিয়ে অনুমান করা কঠিন। এরকম আবহাওয়ায় উইকেটের ধরণ সব সময় পরিবর্তন হতে থাকে। দেখা যায় সারাদিন রোদ পাওয়া যায় না, আবার একটা সময় পাওয়া যায়। এটা কঠিন।”

এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে অনুশীলন ক্যাম্পের সময় মুশফিক বলেছিলেন, ইংল্যান্ড সিরিজের মতো টার্নিং উইকেট চান এই সিরিজেও। সেই প্রত্যাশা কি মিটতে যাচ্ছে? বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন আবহাওয়ার কারণে কিউরেটরের সীমাবদ্ধতার কথা।

“যে উইকেট প্রস্তুত করছে, তার জন্যও কাজটা কঠিন। কারণ যে কন্ডিশন…কতুটুক পানি দিতে হবে, রোদ উঠবে কিনা পরদিন, এগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।”

এই মাঠে বছরের পর বছর খেলেছেন মুশফিকরা। যদিও মাঠে সংস্কার হয়েছে, তবে উইকেট নতুন করে গড়া হয়নি। স্রেফ ওপরের স্তর নতুন করা হয়েছে। কদিন আগে এখানে ম্যাচ অনুশীলনের মতো করে সেন্টার উইকেটে খেলেছেন মুশফিকরা, ধারণা তাই হয়ে যাওয়ার কথা। উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ না বোঝার কারণ নেই। হয়ত বুঝেও বলতে চাইলেন না অধিনায়ক, রেখে দিতে চাইলেন রহস্য।

বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে উইকেটের ধরনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ খেলার ধরন।

“উইকেট যেমনই হোক, দুই দলের জন্য সব কিছু সমান হবে। কন্ডিশনের সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে আমারা কতুটুক নিবেদন দেখাতে পারি। আপনি যতই ভালো কন্ডিশন পান না কেন যদি আপনি পারফর্ম করতে না পারেন তাহলে কিছুই ভালো হবে না।”

“আমাদের প্রথম ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেটা বোলিং বা ব্যাটিং হোক। আমরা যেন শুরুতেই ওপরে থাকতে পারি। চেষ্টা করব ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে। প্রত্যেকটা সেশন বাই সেশন, বল বাই বল যদি ভালো করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু সম্ভব।”

উইকেট শেষ পর্যন্ত যেমনই হোক, অধিনায়কের ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশও। কে না জানে, ম্যাচ জয়ের উইকেটই সবচেয়ে ভালো উইকেট!