অ্যাডিলেইড টেস্টে অভিষেক হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ক্রিকেটারের।
Published : 16 Jan 2024, 11:21 AM
কদিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বলেছিলেন, টেস্ট একাদশের পরিষ্কার ছবি তিনি পেয়ে গেছেন। টেস্ট শুরুর আগের দিন সেই ছবিটা মেলে ধরলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেইড টেস্টে অভিষেক হচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের তিন ক্রিকেটারের।
সব ঠিকঠাক থাকলে অ্যাডিলেইডে বুধবার টেস্ট ক্যাপ পাচ্ছেন দুই অলরাউন্ডার কাভেম হজ, জাস্টিন গ্রিভস ও পেসার শামার জোসেফ। টেস্টের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন এই তিনজনই।
প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হজ। ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান স্পিন বোলিং করেন বাঁহাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি ওয়ানডে তিনি খেলেছেন। ৫৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৪ সেঞ্চুরিতে তার রান ২ হাজার ৭৬২, উইকেট ৫৫টি।
হজের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন গ্রিভসও। ২৭ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার ৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১ হাজার ২৬৮, উইকেট নিয়েছেন ৭৬টি। অ্যাডিলেইডে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬৫ রান করেন তিনি, পরের ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
এই টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখছেন শামার। ২৪ বছর বয়সী এই পেসারের ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাও খুব একটা নেই। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন স্রেফ ৫টি, উইকেট ২১টি। লিস্ট ‘এ’ ও টি-টায়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন স্রেফ ২টি করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সিরিজ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দুই বোলিং অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার ও কাইল মেয়ার্স, চোটের কারণে নেই পেসার জেডেন সিলস। অনেকটা অনভিজ্ঞ দল নিয়েই কঠিন এক লড়াইয়ে নামতে হবে ব্র্যাথওয়েটকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ১৯ টেস্টের ৪টি কেবল ড্র করতে পেরেছে তারা, হেরেছে বাকি সবকটিতে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় ব্রায়ান লারার দলের ৪১৮ রান তাড়ায় জিতে বিশ্বরেকর্ডের পর আর কোনো ম্যাচ তারা জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সবশেষ জয়টির বয়স তো ২৭ বছর হতে চলল! সেই ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ ও ইয়ান বিশপের পেস তোপে তারা জিততে পেরেছিল পার্থে।
এবারের দলটিকে বলা যায়, অস্ট্রেলিয়া সফরে স্মরণকালের সবচেয়ে আনকোরা দল। তাদেরকে লড়তে হবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।