ম্যাচ স্থগিত করার কথা ভেবেছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
Published : 24 Mar 2025, 07:54 PM
টসের পরপর সমস্যা টের পেলেন তামিম ইকবাল। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও মাঠে চলতে থাকল খেলা। তার অনুপস্থিতির প্রভাব পড়তে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। অসাধারণ সেঞ্চুরিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে জেতান স্পিন অলরাউন্ডার। তামিমের অসুস্থতার খবরে অবশ্য ম্যাচটি স্থগিত করার কথা ভেবেছিলেন আয়োজকরা।
তবে মোহামেডান ক্লাব কর্তৃপক্ষ এতে রাজি হয়নি। তাই অন্য সাধারণ সময়ের মতোই চলতে থাকে খেলা। যেখানে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ষষ্ঠ জয় পায় মোহামেডান।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে স্বাভাবিকভাবে টস করলেও এক বলের জন্যও ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তামিম। ম্যাচে তাই মোহামেডানের নেতৃত্ব দেন তাওহিদ হৃদয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। তাই দ্রুততার সঙ্গে বসানো হয় স্টেন্ট।
শুরু থেকেই তামিমের সঙ্গে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল, বিকেএসপির ক্রিকেট কোচ মন্টু দত্তরা জানান মাঠ থেকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন তামিম। এমনকি কিছুক্ষণ হৃৎস্পন্দন ছিল না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে টানা 'সিপিআর' ও পরে 'ডিসি শক' দেওয়া হলে সুফল মেলে। পরে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্ট করে স্টেন্ট বসান কেপিজে স্পেশালাইজ হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের চিকিৎসকরা।
কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের হাসপাতালে যখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন তামিম, তখনও মাঠে চলছিল মোহামেডান ও শাইনপুকুরের খেলা। এমন জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে যেকোনো খেলা স্থগিত হওয়ার নজির আছে অনেক।
প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব মেট্রোপলিসেরও (সিসিডিএম) ছিল একই ভাবনা। তবে সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মোহামেডানই চেয়েছিল খেলা চালিয়ে নিতে।
“খেলা বন্ধ করার একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। মোহামেডান ও শাইনপুকুরের ম্যাচটি স্থগিত করা নিয়ে আলোচনাও করেছিলাম। পরে মোহামেডানকে এই কথা জানাই। কিন্তু তারা ম্যাচটি খেলতে চেয়েছে। কোনো দলের খেলা স্থগিত করতে হলে তাদের সম্মতিও তো প্রয়োজন।”
মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদও বলেন, তাদের দলীয় সিদ্ধান্তেই বন্ধ করা হয়নি খেলা। এমন সিদ্ধান্তের কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি।
“সিসিডিএমের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে আমাদের ম্যাচটি বন্ধ করার একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরাই মূলত খেলা চালিয়ে নিয়েছি। সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি মোহামেডান ক্লাব কর্তৃপক্ষের।”
“আমরা খেলা বন্ধ করতে চাইনি কারণ ড্রেসিং রুমে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইনি। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতাম তামিমকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। পরবর্তী খবরের অপেক্ষায় থেকে আমরা খেলাটা চালিয়ে নিয়েছি। দলে আতঙ্ক না ছড়াতে চাওয়াই ছিল মূল কারণ।”