নিউ জিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
১৬ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ পেসার হিসেবে দেশের বাইরে এক টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ব্রাইডন কার্স, অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটিতে রান তাড়া সহজ করে দিয়েছেন জ্যাকব বেথেল।
Published : 01 Dec 2024, 10:26 AM
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে আনুষ্ঠানিকতার কাজটিও সহজ করে দিলেন ব্রাইডন কার্স ও জ্যাকব বেথেল। আগুনে বোলিংয়ে কার্স শিকার করলেন ছয় উইকেট। ম্যাচে তার উইকেট হলো দশটি। অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটি উপহার দিলেন বেথেল। রান তাড়ায় ঝড়ের বেড়ে ছুটে দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দিল ইংল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনেই নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
হ্যাগলি ওভালে রোববার নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৫৪ রানে। একার লড়াইয়ে ৮৪ রান করেন ড্যারিল মিচেল।
৪২ রানে ৬ উইকেট নেন কার্স। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা পেসার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন কেবল ১০৬ রান দিয়েই।
সেই ২০০৮ সালের মার্চে রায়ান সাইডবটমের পর দেশের বাইরে ১০ উইকেটের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের কোনো পেসার। সাইডবটমের কীর্তি ছিল নিউ জিল্যান্ডেরই হ্যামিল্টনে।
এরপর ১০৪ রানের লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ৩৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল।
নিউ জিল্যান্ড দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে। সকালে মিচেলকে কিছুটা সহায়তা করেন অভিষিক্ত ন্যাথান স্মিথ।
২১ রানে স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কার্স। ওই ওভারেই ম্যাট হেনরিকে বিদায় করে তিনি পূর্ণ করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট।
টিম সাউদি নেমে স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে দুটি ছক্কা মেরে আউট হয়ে যান। তবে শেষ জুটি বেশ যন্ত্রণা দেয় ইংল্যান্ডকে। উইল ও’রোককে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান বাড়ান মিচেল।
নবম উইকেট পতনের সময় ৪৭ রানে ছিলেন মিচেল। ও’রোককে সঙ্গী করে ফিফটি পেরিয়ে তিনি দ্রুত কয়েকটি বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগান।
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন সেই কার্স। ৮৪ রানে আউট করেন তিনি মিচেলকে। জুটি থামে ৪৫ রানে।
রান তাড়ায় ইংল্যান্ড দ্রুতই হারায় জ্যাক ক্রলিকে (১)। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ টেস্ট খেলে তার গড় এখন ৯.৮৮। ১৭ ইনিংসে তিনি ১২ বারই আউট হলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে।
আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ১৮ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান। এরপর ৩৪ বলে ৪৯ রানের জুটিতে কাজ শেষ করেন বেথেল ও জো রুট।
বেথেলকে তিনে খেলানো নিয়ে ইংল্যান্ডে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। ৩৭ বলের অপরাজিত ফিফটিতে কিছুটা জবাব তিনি দিতে পারলেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা রুট এবার ১৫ বলে অপরাজিত ২২ রান করে।
ম্যাচে ১০ উইকেটের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা কার্স। দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৪৮
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৯৯
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৪.১ ওভারে ২৫৪ (আগের দিন ১৫৫/৬) (মিচেল ৮৪, স্মিথ ২১, হেনরি ১, সাউদি ১২, ও’রোক ৫*; ওকস ১৯-২-৫৯-৩, অ্যাটকিনসন ১৭.৩-৩-৫৭-১, কার্স ১৯.১-২-৪২-৬, বাশির ১২-০-৬৫-০, স্টোকস ৬.৩-০-৩০-০)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ১০৪/২ (ক্রলি ১, ডাকেট ২৭, বেথের ৫০*, রুট ২৩*; সাউদি ৩-০-২৭-০, হেনরি ৩-১-১২-১, স্মিথ ৩৪.-০-৩৮-০, ও’রোক ৩-০-২৭-১)
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: ব্রাইডন কার্স