অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের দলটি।
Published : 18 Aug 2024, 10:29 AM
টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন শামীম হোসেন। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে চমৎকার বোলিং করলেন রিপন মণ্ডল, রকিবুল হাসানরা। দারুণ জয়ে ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ এইচপি দল।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেমি-ফাইনালে নর্দার্ন টেরিটরি (এনটি) স্ট্রাইককে ২১ রানে হারায় বাংলাদেশ এইচপি। ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশের ১৩৮ রানের জবাবে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি এনটি স্ট্রাইক।
অন্য সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান শাহিনসকে ('এ' দল) ৩০ রানে হারায় অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স। মারারা ওভালে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
প্রথম পর্বের শেষ কয়েক ম্যাচের মতো এ দিনও ব্যাটিংয়ে হাল ধরেন শামীম। একপ্রান্ত আগলে রেখে তিনি খেলেন ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ম্যাচের পরের ভাগে দুর্দান্ত বোলিং করেন রিপন, রকিবুলসহ দলের সব বোলার।
৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এখন পর্যন্ত ১৩ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।
রকিবুলের ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট। আসরে তার মোট শিকার ১১টি।
এছাড়া আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন আবু হায়দার, আলিস আল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন জিসান আলম। পাওয়ার প্লের মধ্যে একই পথে হাঁটেন তানজিদ হাসান। ওপেনিংয়ের বদলে তিন নম্বরে নেমেও ফর্মে ফিরতে পারেননি তিনি। ১১ বলে করেন ১৬ রান।
এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ও আফিফ হোসেন। তেমন সফল হননি সেই প্রচেষ্টা। ২১ বলে দুজন মিলে যোগ করেন ২৫ রান। তিন বলের ব্যবধানে আউট হন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দল থেকে বাদ পড়ার পর আবার একাদশে ফিরে আফিফের সংগ্রহ ৪ চারে ১৬ বলে ২২ রান। টুর্নামেন্টের ছয় ম্যাচে এটিই তার সর্বোচ্চ।
প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ খেলার পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা পারভেজ ১৭ রান করতে খেলেন ২৩ বল। অধিনায়ক আকবর আলি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরেন শামীম ও মাহফুজুর। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৩৯ বলে ৪৯ রানের জুটি।
১ ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করে ফেরেন মাহফুজুর। ৩৪ বলের ইনিংসে ৪টি চার মারেন শামীম।
রান তাড়ায় রয়েসয়ে শুরু করে এনটি স্ট্রাইক। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার ডার্সি শর্টকে ফেরান আলিস আল ইসলাম। ১৭ বলে ১৫ রান করেন শর্ট।
দশম ওভারে পরপর দুই বলে জেইক ওয়েদারাল্ড ও লাচলান ব্যাংসকে আউট করেন রকিবুল। ২৯ বলে দলের সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওয়েদারাল্ড। ফিরতি ক্যাচ দেওয়া ব্যাংস রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দুই ওভার পর জোড়া আঘাত করেন রিপন। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্থানীয় দলটি। শেষ দিকে ক্যালান ম্যালাডের অপরাজিত ১৯ রানের সৌজন্যে কোনোমতে একশ পেরোয় স্ট্রাইক। যা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ এইচপি: ২০ ওভারে ১৩৮/৬ (জিসান ৪, পারভেজ ১৭, তানজিদ ১৬, আফিফ ২২, আকবর ৩, শামীম ৪১*, মাহফুজুর ২১, আবু হায়দার ৮*; হ্যামন্ড ৪-০-৩২-২, মেনজিস ২-০-১৫-০, শর্ট ৪-০-২৭-১, ম্যালাডে ৩-০-২২-১, ব্যাংস ৪-০-১৮-১, মার্টিন ৩-০-২৪-১)
এনটি স্ট্রাইক: ২০ ওভারে ১১৭/৯ (ওয়েদারাল্ড ৩৪, শর্ট ১৫, ডিকম্যান ১১, ব্যাংস ০, ক্যারল ৭, হ্যামন্ড ৯, মার্টিন ৬, কনওয়ে ৩, ম্যালাডে ১৯*, মেনজিস ৫, স্মিথ ০*; রিপন ৪-০-৩৬-৩, আলিস ৪-০-১৬-১, আবু হায়দার ৪-০-১৮-১, রকিবুল ৪-০-১৫-২, মাহফুজুর ৪-০-২৫-০)
ফল: বাংলাদেশ এইচপি দল ২১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রিপন মণ্ডল