বিশ্বকাপে দলকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে চান অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
Published : 02 May 2024, 05:32 PM
অস্ট্রেলিয়ার দলের সামনে দারুণ একটি অর্জনের হাতছানি। প্রথম দল হিসেবে টানা তিন সংস্করণের বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের সুযোগ তাদের সামনে। দলটির টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শ বলছেন, এমন কিছু করতে পারা হবে তাদের জন্য বিশেষ এক প্রাপ্তি।
আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালের জুনে ফাইনালে ভারতকে ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় তারা। ওই বছরের শেষ দিকে তাসমান সাগর পাড়ের দলটি জেতে রেকর্ড ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
গত অক্টোবর-নভেম্বরের ওই আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পায় তারা। ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তোলে প্যাট কামিন্সের দল।
এবার অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জেতার। মার্শের নেতৃত্বে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে নামবে ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে ওঠার পথে থাকা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অবশ্য বললেন, ট্রেবল জেতা দারুণ কিছু হলেও এটায় মনোযোগ দিতে নারাজ তারা।
“দল হিসেবে মনোযোগ দেওয়ার মতো কিছু নয় এটা (ট্রেবল)। এমনটা আগে কখনও হয়নি, তাই এই সাফল্য পাওয়া হবে বিশেষ কিছু। শিরোপা জেতার চেষ্টা করার আগেও বিশ্বকাপে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এটা সম্ভবত বাইরের আলোচনা… তবে আমার মনে হয়, বড় অর্জনের হাতছানি আছেই।”
অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে এরই মধ্যে ভালোই প্রমাণ করতে পেরেছেন মার্শ। তার নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপেও তার ওপর আস্থা রেখেছে দল। ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার চান আস্থার প্রতিদান দিতে।
“সবচেয়ে বড় যে জিনিসটি আমি শিখেছি, তা হলো খুব বেশি পরিবর্তন না করা। অবশ্যই বিশ্বকাপের জন্য অনেক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করতে হয় এবং আগামী মাসে জুড়ে সেটা হবে। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর, মূল কাজ হবে সবকিছু যথাযথ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় রাখা এবং (দলের) পরিবেশ ভালো রাখা।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পথচলা শুরু হবে আগামী ৬ জুন, ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য সঙ্গী ইংল্যান্ড, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড।