পাকিস্তান অধিনায়কের ফর্মে ফেরা স্রেফ সময়ের ব্যাপার, বলছেন দলটির মেন্টর ম্যাথু হেইডেন।
Published : 08 Nov 2022, 07:16 PM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু থেকে ম্রিয়মাণ বাবর আজম। একটা সময় যার ব্যাটে বইত রানের স্রোত, সেই তিনি আসর জুড়ে নিজের ছায়া হয়ে আছেন। ব্যাট হাতে মেটাতে পারছেন না প্রত্যাশা। কঠিন সময়ে পাকিস্তান অধিনায়কের কাঁধে ভরসার হাত রাখলেন দলের মেন্টর ম্যাথু হেইডেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গ্রেটের মতে, বাবরের ব্যাটে বড় ইনিংস এলো বলে।
এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ টানলেন ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে তার উদ্বোধনী সঙ্গী অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে এবং তার সেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরিকে।
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে বাবরের রান স্রেফ ৩৯। প্রথম চার ম্যাচে তো দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠার ম্যাচে করেন ২৫ রান। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তিনি নেমে গেছেন চার নম্বরে।
বিশ্বকাপে তার পড়তি ফর্ম নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ওপেনিং থেকে তাকে তিন নম্বরে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন অনেকে। মঙ্গলবার হেইডেনের সংবাদ সম্মেলনেও উঠল প্রসঙ্গটি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান তখন ফিরে গেলেন ২০০৭ বিশ্বকাপে।
“বাবর ও (মোহাম্মদ) রিজওয়ান সঠিক এক নম্বর কম্বিনেশন। যদি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের দিকে তাকান, অস্ট্রেলিয়ার অপরাজিত অভিযানে গিলক্রিস্টের সময় খুব একটা ভালো কাটছিল না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের কথা যদি মনে করেন, সে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করেছিল এবং তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিল। বিশ্বকে আরও একবার জানান দিয়েছিল, এই সংস্করণে সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সে।”
ওই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে ১১ ম্যাচের সবগুলো জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ১০ ম্যাচে গিলক্রিস্টের ফিফটি ছিল দুটি। সুপার এইটের শেষ ম্যাচে ও সেমি-ফাইনালে তিনি আউট হন ১ রান করে।
তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঝড় তোলেন ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বৃষ্টির কারণে ৩৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১০৪ বলে ১৩ চার ও ৮ ছক্কায় খেলেন ১৪৯ রানের খুনে ইনিংস। ২৮১ রানের পুঁজি গড়ে দলের ৫৩ রানে জয়ের পর ফাইনালের সেরা হন তিনি অবধারিতভাবে।
সিডনিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের সেমি-ফাইনালের আগে নেটে বাবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে দেখা যায় হেইডেনকে। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার মনে করেন, বাবরের ফর্মে ফেরা স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
“আমরা জানি, সবার ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন থাকে। বাবরের সময় যে খারাপ কাটছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটাই তাকে আরও বড় খেলোয়াড় করে তুলবে।”
“সবসময় কেউ সেঞ্চুরি কিংবা ফিফটি বা ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান করে যেতে পারবে না। কিছু মুহূর্ত আসে যখন সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আবহাওয়ার কথাই ধরুন, ঝড়ের আগে প্রায় সময়ই পরিবেশ খুব শান্ত হয়ে যায়। তাই চোখ রাখুন, আমি মনে করি, বাবরের কাছ থেকে খুব বিশেষ কিছু দেখতে চলেছেন।”