টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
দলটির সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের মতে, এই ক্রিকেটারদের বাদ না দিলে পাকিস্তান জিততে পারবে না।
Published : 11 Jun 2024, 08:33 PM
পাকিস্তান দলের কয়েকজন ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে থাকার যোগ্যই মনে করেন না মোহাম্মদ ওয়াসিম। দেশটির সাবেক এই ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধান নির্বাচকের কাছে, এরা দলের জন্য ক্যান্সারের মতো। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, এই ক্রিকেটাররা দলে থাকলে কখনও জিততে পারবে না পাকিস্তান।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা ভীষণ বাজে হয়েছে পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে হেরে যাওয়া দলটি পরের ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে বাগে পেয়েও পারেনি জিততে। দুই ম্যাচেই একটা পর্যায় পর্যন্ত জয়ের জোরাল সম্ভাবনা ছিল তাদের।
পরপর দুই ম্যাচে হেরে সুপার এইটে উঠতে না পারার শঙ্কায় পড়ে গেছে ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। দলটির ওপর তাই বইছে সমালোচনার ঝড়। তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে করা হচ্ছে কাটাছেঁড়া।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইমাদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ তোলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। তার দাবি, লম্বা একটা সময় ধরে হাঁটুর চোট লুকিয়ে খেলেছেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।
পাঁজরের চোটে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি ইমাদ। ওয়াসিমের মতে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছেন এই ক্রিকেটার। আসলে হাঁটুর চোট এখনও ভোগাচ্ছে তাকে।
“পাঁজরের চোট নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। তার (ইমাদ) হাঁটুর চোটও রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে সে তা লুকিয়ে রেখেছে…এমনকি আমি আমার মেয়াদকালে ইমাদককে বাদ দিয়েছিলাম, যাতে সে তার মাঠের বাইরের সমস্যাগুলি নিয়ে কাজ করতে পারে এবং তার ফিটনেসের উন্নতি করতে পারে।”
এরপরই পাকিস্তান ‘দলের ক্যান্সার’ নিয়ে কথা বলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। সরাসরি কারো নাম অবশ্য বলেননি তিনি। তার মতে, এসব ক্রিকেটারদের বাদ না দিলে আরও ভুগতে হবে পাকিস্তানকে।
“আমি এখানে কারো নাম বলব না, তবে এটুকু বলতে পারি, চারজন কোচ বিশ্বাস করেন, একদল খেলোয়াড় আছে যারা দলে ‘ক্যান্সারের’ মতো। তারা দলে থাকলে এই দল জিততে পারবে না। আমি তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি; কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আবারও তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার কানাডার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সুপার এইটে খেলার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখতে শেষ দুই ম্যাচেই জয়ের বিকল্প নেই তাদের। এরপরও তাদের প্রার্থনা করতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর ফল পক্ষে আসার।