আইপিএল
Published : 28 Apr 2025, 08:45 PM
আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ২০২৮ সাল থেকে প্রতি আসরে ৯৪ ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে চলছে আলোচনা। তবে নিকট ভবিষ্যতে নতুন দল যোগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন আইপিএল চেয়ারম্যান আরুন ধুমাল।
২০২২ সালে আইপিএলে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়। নতুন দল হিসেবে যোগ দেয় গুজরাট টাইটান্স ও লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আর ওই আসর থেকে ফরম্যাট পরিবর্তন করে ৬০ থেকে বাড়িয়ে ম্যাচ সংখ্যা করা হয় ৭৪টি।
২০২৫ আসর থেকে ৮৪ ম্যাচের আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ঠাসা সূচি ও অনেক বেশি ডাবল-হেডার্সের (দিনে দুই ম্যাচ) প্রতি সম্প্রচারকদের অনাগ্রহের কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি। তবে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর আলোচনা চলছে এখনও।
আগামী দুই বছরের এফটিপিতে (ভবিষ্যৎ সফর সূচি) আইপিএল উইন্ডো নির্ধারণ করা আছে মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। ২০২৮ সালে নতুন সম্প্রচার স্বত্বের চক্র শুরু হবে আইপিএলের। তখন থেকে ৯৪ ম্যাচের আসর আয়োজনের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবার কথা ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন ধুমাল।
“অবশ্যই, এটা একটা সুযোগ হতে পারে। আমরা আইসিসিতে আলোচনা করছি, বিসিসিআইয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা করছি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি ইভেন্টগুলোর বিষয়ে ভক্তদের আগ্রহ কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বিবেচনা করে, আমাদের এটা নিয়ে আরও গুরুত্ব সহকারে কথা বলতে হবে এবং দেখতে হবে যে আমরা কীভাবে খেলাটির স্টেকহোল্ডারদের জন্য সর্বাধিক মান তৈরি করতে পারি।”
“আদর্শগতভাবে, আমরা চাইব একটি বড় উইন্ডো, কিংবা হয়তো কখনও ৭৮ থেকে ৮৪ বা ৯৪ ম্যাচের টুর্নামেন্টে যেতে পারি… যাতে প্রতিটি দল প্রতিটি দলের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলতে পারে, এর জন্য ৯৪টি ম্যাচ খেলতে হবে।”
আইপিএলের এখনকার ফরম্যাটে ১০ দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে খেলা হয়। নিজের গ্রুপের চার দলের সঙ্গে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে লড়াই হয় দুবার করে। অন্য গ্রুপের একটি দলের সঙ্গেও হবে দুটি ম্যাচ, যেটি ঠিক করা হয়েছে সিডিংয়ের ভিত্তিতে। অন্য গ্রুপের বাকি চার দলের সঙ্গে ম্যাচ হবে একটি করে।
তাই এখন প্রতিটি দলের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না সবার। এর জন্য ৯৪ ম্যাচের আসর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ধুমাল।
তবে এখনও নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ করার কথা ভাবছে না তারা।
“এখনকার জন্য ১০ দল ঠিক আছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টুর্নামেন্টের প্রতি আগ্রহ ও খেলার মান… অল্প সময়ের মধ্যে নতুন দলের কোনো সুযোগ দেখছি না। সামনে এই পুরো বিষয়টি কীভাবে বিকশিত হয়, আমরা সেই অনুযায়ী একটি সিদ্ধান্ত নেব।”