বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
প্রথম টেস্টে শুরুতে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
Published : 21 Aug 2024, 08:20 PM
উইকেটে ঘাস আছে যথেষ্ট। প্রত্যাশিতভাবেই মিলল বাউন্স ও সিম মুভমেন্ট। সেই সহায়তা কাজে লাগিয়ে নতুন বলে দারুণ বোলিং উপহার দেন শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। তাতে বাংলাদেশের শুরুটাও হয় বেশ ভালো। তবে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। সাইম আইয়ুব ও সাউদ শাকিলের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে বুধবার বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হয় সাড়ে চার ঘণ্টা দেরিতে। খেলা হতে পারে ৪১ ওভার। ৩ উইকেটে ১৬ রানের নড়বড়ে অবস্থান থেকে প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৫৮।
৫৭ রানে খেলছেন শাকিল। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৫৬ করে বিদায় নিয়েছেন সাইম।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ও হাসান।
উইকেটের আর্দ্রতা কাজে লাগাতে টস জিতে প্রত্যাশিতভাবে বোলিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন পেসারের সঙ্গে বাংলাদেশের একাদশে আছে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার।
তৃতীয় ওভারেই আব্দুল্লাহ শাফিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান। যেখানে বড় অবদান জাকির হাসানের। স্লিপে দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ডান দিকে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন তিনি।
ষষ্ঠ ওভারে শরিফুল বিদায় করে দেন শান মাদুসকে। এই উইকেট অবশ্য জন্ম দেয় বিতর্কের। বাঁহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ভেতরে ঢোকার মুখে ডিফেন্ড করেন মাসুদ। তার ব্যাট ও প্যাড ঘেঁষে বল কিপারের গ্লাভসে জমা হলে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন শান্ত।
রিপ্লে দেখে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন টিভি আম্পায়ার। যা মানতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। যেন বোঝাতে চাইছিলেন, ব্যাটে নয় প্যাডে লেগেছে বল।
নিজের পরের ওভারে বাবর আজমকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে অসাধারণ ক্যাচ নেন কিপার লিটন কুমার দাস।
প্রথম ৯ ওভারের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে তখন ভীষণ চাপে পাকিস্তান।
শরিফুলের পরের ওভারে রান আউট হতে হতেও বেঁচে যান শাকিল। পরে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাইমকে সঙ্গে নিয়ে। খোলসে না ঢুকে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন দুজন।
তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে কিছুটা এলোমেলো বোলিং করেন নাহিদ রানা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭৬ বলে ফিফটি করেন ওপেনার সাইম।
বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন সাইম। ৯৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় গড়া তার ইনিংস।
শাকিল ফিফটি করেন ৮২ বলে। বিস্ময়করভাবে সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনা হয় ইনিংসের ৩৯তম ওভারে! ওই ওভারে তাকে পরপর দুটি চার মারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সাকিবের পরের ওভারই হয়ে থাকে দিনের শেষ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১৫৮/৪ (শাফিক ২, সাইম ৫৬, মাসুদ ৬, বাবর ০, শাকিল ৫৭*, রিজওয়ান ২৪*; শরিফুল ১২-৪-৩০-২, হাসান ১৩-৩-৩৩-২, নাহিদ ১০-০-৪৮-০, মিরাজ ৪-০-২৪-০, সাকিব ২-০-১২-০)