আইসিসি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪
ভারতের প্রথম পেসার ও ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
Published : 27 Jan 2025, 04:26 PM
১৩ টেস্টে ১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট- ছোট্ট এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, বল হাতে গত বছর কতটা উজ্জ্বল ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। চমৎকার ওই পারফরম্যান্স তাকে এনে দিল দারুণ এক স্বীকৃতি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন ভারতের এই তারকা পেসার।
গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইসিসি ভোটিং একাডেমি এবং সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের নাম সোমবার প্রকাশ করেছে আইসিসি।
সেরার লড়াইয়ে বুমরাহ হারিয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিসকে।
ভারতের প্রথম পেসার ও ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি। ২০০৪ সালে রাহুল দ্রাবিড়, ২০০৯ সালে গৌতাম গাম্ভির, পরের বছর ভিরেন্দার শেবাগ, ২০১৬ সালে রাভিচান্দ্রান অশ্বিন ও ২০১৮ সালে ভিরাট কোহলি পুরস্কারটি পান।
পিঠের চোট কাটিয়ে ২০২৩ সালের শেষ দিকে ফেরার পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে বোলারদের মধ্যে আধিপত্য করছেন বুমরাহ। ২০২৪ সালে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি অনেকটা ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ উইকেট নিতে পারেন ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসন।
টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ১৫ এর নিচে বোলিং গড়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত ৭০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন বুমরাহ। প্রথম বোলার হিসেবে চার হাজারের কম রান দিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি গত বছর।
দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক উইকেট হোক কিংবা পেসারদের জন্য ভারতের কঠিন কন্ডিশন-বছরজুড়ে সবখানেই আলো ছড়ান তিনি। তার সবচেয়ে সেরাটা দেখা যায় বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে।
নভেম্বরে পার্থে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শার্মার অনুপস্থিতিতে সামনে থেকে দুর্দান্তভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয় এনে দেন বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শিকার ধরেন ৩টি। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও ২৯৫ রানের জয় পায় ভারত।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফেরেন ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
পরের টেস্টে অ্যাডিলেইডে প্রথম ইনিংসে বুমরাহ নেন ৪ উইকেট। ব্রিজবেনে প্রথম ইনিংসে ৬টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩টি। মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে নেন ৫টি। সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে তিনি বোলিং করতে পারেননি পিঠের সমস্যায়।
৩-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে ভারতের হয়ে মূলত লড়াই করেন তিনিই। পাঁচ টেস্টে ১৩.০৬ গড়ে উইকেট নেন ৩২টি। ভারতীয় বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় এক সিরিজের যা সর্বোচ্চ।