জাতীয় দলের স্পিন কোচের সঙ্গে এমন ক্যাম্পের আয়োজন নিয়মিত চান উঠতি ও সম্ভাবনাময় স্পিনাররা।
Published : 25 Feb 2023, 12:37 PM
বিসিবি একাডেমি মাঠের মাঝের উইকেটের মাঝামাঝি দিয়ে দুই পাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতায় বাঁধা দড়ি। সেটির ওপর দিয়ে বোলিং করছিলেন লেগ স্পিনাররা। কাছে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। বাঁহাতি স্পিনার ও অফ স্পিনারদের জন্যও নির্দেশনা একই। ডেলিভারি যেন খাটো লেংথে না পড়ে এবং বলের ফ্লাইট যেন যথাযথ হয়, সেজন্যই মূলত জাতীয় দলের স্পিন কোচের বিশেষ ওই ব্যবস্থা।
দেশের উঠতি ও সম্ভাবনাময় স্পিনারদের নিয়ে হেরাথের তিন দিনের বিশেষ ক্যাম্পের একটি খণ্ডচিত্র সেটি। কখনও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের অ্যাকশন নিয়ে কাজ করা, কখনও আবার তানভির ইসলামকে সিম ব্যবহার করার কৌশল বুঝিয়ে দেওয়া, এমন নানা কিছুই করতে দেখা গেছে লঙ্কান এই স্পিন গ্রেটকে।
বিপিএলের নবম আসর শেষ হওয়ার পর গত ১৮, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি এই স্পিন ক্যাম্প পরিচালনা করেন হেরাথ। বিপিএলে আলো ছড়ানো তানভির, রাকিবুল হাসানদের পাশাপাশি এতে ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ হাসান মুরাদ, আমিনুল, রিশাদ হোসেনরা। সব মিলিয়ে ১৯ জন স্পিনারকে নিয়ে ক্যাম্প করেন লঙ্কান কিংবদন্তি।
তিন দিনের ক্যাম্প শেষে বেশিরভাগই যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) নিজ নিজ দলে। বাকিদের প্রস্তুতি চলছে আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য। হেরাথ ফিরেছেন নিজের মূল দায়িত্বে, বাংলাদেশ জাতীয় দলে।
যা শিখলেন তানভির-রকিবুল-আমিনুলরা
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথোপকথনে হেরাথের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়ে নজর কাড়া তানভির।
“উনি (হেরাথ) আমার সবকিছু দেখে মোটামুটি ভালোই বলছেন। বোলিং ভিডিও করেছেন, অ্যাকশন দেখে বলেছেন ঠিক আছে। কোনো সমস্যার কথা বলেননি।”
“উনার সঙ্গে আমি একটা কাজ করার চেষ্টা করেছি, আস্তে বোলিং করা। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কতটা আস্তে করতে চাও?' আমি বললাম, 'আমার গতি গড়ে ৯০-৯২ কি.মি. প্রতি ঘণ্টায়। এটা ৭৮-৮০-তে যদি নামানো যায়,,,।' তখন উনি বললেন, 'খুব বেশি কমাতে হবে না, ৫-১০ কি.মি. কমালেই হবে।' পরে এটা নিয়ে কিছু কাজ করলাম।”
ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন তানভিরের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করতে দেখা যায় হেরাথকে। বলের সিমে এক আঙুল দিয়ে কিছু একটা দেখাচ্ছিলেন লঙ্কান কোচ। তখন কী কথা বা কাজ হচ্ছিল, তা ব্যাখ্যা করলেন ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার।
“উনি বোলিংয়ের অনেক ধরনের বৈচিত্র্য শিখিয়েছেন। ক্রস সিম... যার যেমন স্কিল আয়ত্বে আছে, বৈচিত্র আছে, ওগুলো দেখে একেকজনকে একেকরকম পরামর্শ দিয়েছেন।”
“উনার ক্রস সিমে বোলিং একরকম, আমারটা আবার আরেকরকম। আমি সিমে এক আঙুল রেখে ইন সুইংও পারি, আবার ক্রস সিমও পারি। উনি ভেবেছেন যে, আমি শুধু ইন সুইংই করি এটা দিয়ে। তখন উনি বলেছেন, এটায় ক্রস সিম করলে ভালো হবে। অফ দ্য পিচ কুইক হবে ডেলিভারি, যদি ভালো জায়গায় করা যায়। আউট হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বাড়বে। এটা নিয়েই উনি সিমে এক আঙুল দিয়ে দেখিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।”
তানভিরের মতো আমিনুলের জন্য হেরাথের ক্যাম্প নতুন অভিজ্ঞতা নয়। প্রায় এক বছর ধরে হেরাথের সঙ্গে কাজ করছেন এই লেগ স্পিনার। এবারের ক্যাম্পের প্রথম দিন আমিনুলের অ্যাকশন নিয়ে কিছু আলাদা কাজ করতে দেখা যায় হেরাথকে।
সেটি পুরোপুরি খোলাসা করতে চাননি আমিনুল। তবে জানিয়েছেন, এই ক্যাম্প থেকে ইতিবাচক ফলের আশাই করছেন তিনি।
“আমার অ্যাকশনের টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যাল কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন উনি। হেরাথের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই ভালো কাজে দেবে। এই পরিকল্পনা নিয়েই আসলে এগোচ্ছি ধীরে ধীরে।”
“অনেক দিন ধরেই উনার সঙ্গে কাজ করছি। গত এক বছরে ভালোই এগোচ্ছে। কিছু কিছু জিনিস ভালো উন্নতি হচ্ছে। আমার কাছে তা-ই মনে হয়। যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে সামনে আরও ভালো হবে। উনি তো অনেক অভিজ্ঞ একজন বোলার ও কোচ। উনার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে, জানার আছে। সেগুলোই নিজের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে এবারের বিপিএলে আলো ছড়ানো রাকিবুল বিসিএলে খেলছেন বিসিবি মধ্যাঞ্চলের হয়ে। আমিনুলের মতো তিনিও আগে হেরাথের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিবারই নতুন করে কিছু না কিছু শেখার সুযোগ থাকে বলে স্পিন ক্যাম্পের জন্য উন্মুখ থাকেন ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই বাঁহাতি স্পিনার।
“হেরাথ খুবই বন্ধুবৎসল। উনার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা যায়। উনি নিজ থেকে এসে আমাদেরকে এটা-সেটা অনেক ব্যাপারে কথা বলেন। উনার কাছে কিছু জানতে গেলে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন। এভাবে কাজ করে মজা আছে। আমার খুব ভালো লেগেছে।”
“আমাদের বোলিংয়ের ভিডিও অ্যানালাইসিস করে আমার নন-বোলিং আর্ম (ডান হাত) নিয়ে একটু কাজ করেছেন। রান-আপের একটা জিনিস ঠিক করে দিয়েছেন। আমাকে বলেছেন, আবার দেখা হলে আরও কিছু জিনিস নিয়ে কাজ করবেন।”
তানভির, আমিনুল, রাকিবুলের মতো অনেক সম্ভাবনা নিয়েই দেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছিল সঞ্জিত সাহার। কিন্তু ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর অ্যাকশন নিয়েই তাকে ভুগতে হয়েছে অনেক। বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তনের পালায় কমে যায় তার ধার। ক্রমেই পাদপ্রদীপের আলো থেকে ছিটকে যান এই অফ স্পিনার।
লড়াই অবশ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই স্পিনার। সবশেষ খেলেছেন গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। হেরাথের ক্যাম্পেও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের স্পিন কোচের কাছ থেকে পেয়েছেন নিজের শক্তির জায়গা ধরে রাখার টোটকা।
“হেরাথের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভালো। টেকনিক্যাল বিষয়ের পাশাপাশি মানসিক দিক নিয়েও কাজ করেছেন। কোন পরিস্থিতিতে কেমন বল করতে হবে, ওই জিনিসটা বুঝিয়েছেন। উনি আমাকে বলেছেন, সহজাত স্পিন বোলিংটাই করতে আর অ্যাকুরেসি ধরে রাখতে। আরও কিছু ছোট ছোট পরামর্শ দিয়েছেন।”
আড়ালের যারা
ক্যাম্পের তিন দিন বিসিবি একাডেমি মাঠে চোখ রাখলে দূর থেকেই আলাদা করা গেছে নাইম আহমেদকে। উচ্চতা যে প্রায় ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি! এই স্পিনার হেরাথেরও বিশেষ মনোযোগ কাড়তে পেরেছেন।
২০১৭ সালে স্পিন হান্টে দেশ সেরা হলেও সেভাবে এগোয়নি নাইমের ক্যারিয়ারের। গত বছর সিলেটে এইচপি ক্যাম্পের নেটে বোলিং করে চম্পকা রামানায়েকের নজরে পড়েন তিনি।
সেখান থেকেই সুযোগ পান এইচপি ক্যাম্পে। সিলেটের জার্সিতে অভিষেক হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটসহ প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সামর্থ্যের জানান দেন তিনি। বিসিএলে খেলছেন বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে।
বিসিএলে নামার আগে হেরাথের স্পিন ক্যাম্প থেকে নাইম পেয়েছেন উচ্চতার ফায়দা নেওয়ার পরামর্শ।
“আমার উচ্চতা কাজে লাগানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন হেরাথ। আমাকে উনি বলেছেন, ফ্লাইট দিয়ে বল করতে হবে না। আমি স্বাভাবিক বোলিং করলেই হবে। আমার জন্য এখন মাত্র শুরু বলা যায়। তবে আমার বোলিং অ্যাকশনে কোনো ত্রুটির কথা বলেননি উনি। এখন এখান থেকে যত ভালো করা যায়।”
“আমাদের সবাইকে বোলিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। নতুন বলে কীভাবে করতে হবে, পুরনো বলে কীভাবে সুবিধা নেওয়া যাবে। ফিল্ড সেটআপ নিজের মতো সাজিয়ে বোলিং করার দিকে জোর দিয়েছেন।”
হেরাথের ক্যাম্পে বাকি সবার চেয়ে আলাদা ছিলেন শফিউল ইসলাম রুবেল। তিনিই ছিলেন একমাত্র বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। সূর্য তরুণ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ খেলা শফিউল সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিতে। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। স্বীকৃত ক্রিকেটে অভিষেক এখনও হয়নি।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিশেষ করে মুশফিকুর রহিমের অনুশীলনে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার দেখা মিলেছে শফিউলের। বাঁহাতি লেগ স্পিনে অনুশীলনের তাগিদ অনুভব করলেই তাকে নেট সেশনে ডাকেন মুশফিক।
প্রথমবার হেরাথের ক্যাম্প করে নিজের বোলিং সম্পর্কে অনেক কিছুই নতুন করে ধরতে পেরেছেন শফিউল।
“প্রথম দিন অ্যাকুরেসি নিয়ে কাজ হয়েছে। তারপর উনি ভিডিও অ্যানালাইসিস দেখিয়েছেন। বোলিংয়ের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। বোলিং নিয়ে একটা ক্লাস করিয়েছিলেন যে কী কী প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। রানআপ থেকে শুরু করে কীভাবে বাকিটা করতে হবে। মানসিকভাবে কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেসব বলেছেন। এগুলো করে সময় কেটেছে।”
“অনুশীলনের সময় কিছু বোলিং ড্রিলস দেখিয়ে দিয়েছিলেন। আর ম্যাচ সিনারিও নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। নতুন বল, পুরনো বলের কথা। কত ওভারের সময় কীভাবে বল করতে হবে, ফিল্ড সেটিং কেমন হবে, সেগুলো বলেছেন সবাইকে। এগুলো নিয়েই মূলত তিন দিন কেটেছে।”
নিয়মিত ক্যাম্পের আকুতি স্পিনারদের
জাতীয় দলের স্পিন কোচের সঙ্গে কাজ করার দারুণ অভিজ্ঞতার কথা যেমন বলেছেন স্পিনাররা, তেমনি তাদের কণ্ঠে শোনা গেছে আরেকটু বেশি সময় না পাওয়ার অতৃপ্তিও। প্রথমবার হেরাথের সঙ্গে কাজ করা নাইমসহ আমিনুল-রাকিবুলরাও বললেন আরও বেশি এমন ক্যাম্প চাওয়ার কথা।
হেরাথের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান নাঈম।
“ক্যাম্পে আমরা অনেক স্পিনার ছিলাম তো। সবার সঙ্গে আলাদা করে খুব বেশি কথা বলার সময় বা সুযোগ ছিল না। আরও বেশি সময় পেলে আমাদের জন্য আরও ভালো হতো।”
টানা দুটি বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করা তানভিরও নিয়মিত চান হেরাথের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে ঝালাই করতে।
“হেরাথের সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে। এমন ক্যাম্প নিয়মিত করাটা হয়তো কঠিন। তবে উনাদের সংস্পর্শে থাকতে পারলে আমার জন্য বা সব স্পিনারের জন্যই ভালো। একদম যে অনেক কিছু শিখে ফেলব, তা নয়। তবে অনেক কিছু জানা যায়, নিজের সম্পর্কে বোঝা যায়। এগুলো কাজে লাগাতে পারলেও খুব ভালো।”
রাকিবুল বাস্তবতা মেনেই আবদার রাখছেন আরও বেশি স্পিন ক্যাম্পের।
“এমন ক্যাম্প যদি নিয়মিত করা সম্ভব হয়, তাহলে তো আমাদের সবার জন্য অনেক ভালো। কিন্তু আমাদের অনেক খেলা থাকে। উনিও জাতীয় দলের খেলায় ব্যস্ত থাকেন। তাই সেভাবে সময় করা যায় না। এর মধ্যেও যতটুকু সময় আমরা পাই খুব ভালো হয়। যদি নিয়মিত করা যায়, তাহলে আরও ভালো হবে।”
হেরাথের সঙ্গে কাজ করা আমিনুলের জন্য এখন স্বাভাবিক বিষয়ই বলা চলে। তবে অন্য স্পিনারদের কথাও মাথায় রাখছেন তরুণ লেগ স্পিনার।
“আমি ব্যক্তিগতভাবে হেরাথের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই কাজ করছি। তবে এমন নির্দিষ্ট করে স্পিন ক্যাম্প হলে সবার জন্যই ভালো। এই ক্যাম্পে আরও অনেক স্পিনার ছিল, সবাই হয়তো কিছু না কিছু শিখতে পেরেছে। সবারই শেখার আগ্রহ আছে। নিয়মিত এরকম ক্যাম্প করা গেলে ভালো হবে।”
স্পিনারদের এই চাওয়া কতটা পূরণ হবে, তা অনিশ্চিত। তবে ক্যাম্পে থাকা বোলারদের হেরাথ জানিয়েছেন, শিগগিরই স্পিনারদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করবেন তিনি। যাতে স্কিল অনুশীলনের পাশাপাশি ম্যাচে বোলিং করার অভিজ্ঞতাও হয় সবার।
ক্যাম্প চলাকালে সংবাদমাধ্যমে হেরাথ নিজেও জানিয়েছেন, এমন ক্যাম্প নিয়মিত করার ইচ্ছার কথা।
“এটি আসলে কোনো ধরনের স্পিনার বাছাই ক্যাম্প নয়। এখানে মূলত আমরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ভাগাভাগি করছি। আমি এই ধরনের স্পিন ক্যাম্প নিয়মিতভাবে করার চিন্তা করছি। যাতে সবার সঙ্গে আমরা জ্ঞান ভাগ করে নিতে পারি।”