এনামুল হক বিজয় প্রায় তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামছেন নিশ্চিতভাবেই, তার ফেরাসহ চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের একাদশ পরিবর্তন আসতে পারে তিনটি।
Published : 27 Apr 2025, 05:29 PM
বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার পর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এনামুল হক। শ্বেতশুভ্র জার্সি গায়ে তিনি পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে। সবুজ অক্ষরে জ্বলজ্বলে করছে তার নাম ও জার্সি নম্বর। সব ঠিকঠাক থাকলে এই জার্সি গায়ে প্রায় তিন বছর পর মাঠে নামবেন তিনি সোমবার।
টপ অর্ডারে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের যে রোগ, সেটির দাওয়াই আপাতত এনামুল। পাঁচ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান ৩২ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের নতুন শুরু করবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে। সিলেট টেস্টের একাদশ থেকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন স্রেফ এই একটিই নয়।
নাহিদ রানা চলে গেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে। তার বদলে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে একজন স্পিনারকে। একাদশেও একজন বাড়তি স্পিনার নেওয়া হবে নাকি তিন পেসারই থাকবে, কৌতূহল থাকবে সেখানেও।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই কৌতূহল জিইয়েই রাখলেন বাংলদেশ কোচ ফিল সিমন্স।
“তিন সিমার দুই স্পিনারের একদশ হতে পারে, আবার দুই সিমার তিন স্পিনারও হতে পারে। দুটির যে কোনোটি হতে পারে। আপনাকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। অবশ্যই আমাদের ভাবনায় আছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধানত নেব আজকে পরে।”
বোলিং আক্রমণে ভারসাম্য কেমন হতে পারে, তা অবশ্য অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায় উইকেট সম্পর্কে কোচের পরের কথাটি শুনলে।
“উইকেট খুবই ভালো মনে হচ্ছে। বেশ শক্ত, মসৃণ এবং কিছুটা শুষ্ক। ম্যাচের পরের দিকে কিছুটা টার্ন আশা করতে পারি, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।”
টার্নের সুবিধা কাজে লাগাতে যে স্পিনারদের ওপর নির্ভর করবে দল, এটা আর আলাদা করে না বললেও চলে। স্কোয়াডে একজন পেসারের বদলে যখন স্পিনারকে যুক্ত করা হয়, তাতেও আসলে দলের পরিকল্পনা ফুটে উঠে। দু পেসার ও তিন স্পিনারের একাদশ তাই একরকম নিশ্চিতই।
সেই তৃতীয় স্পিনারটি নাঈম হাসান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপে বেন কারান, ক্রেইগ আরভাইন, শন উইলিয়ামসের মতো বাঁহাতিদের জন্য চট্টগ্রামের এই অফ স্পিনারকেই হয়তো বেছে নেবে দল।
তাইজুল ইসলাম সিলেট টেস্টে প্রত্যাশিত চেহারায় ছিলেন না। তবে তা একাদশে জায়গা হারানোর মতো সঙ্কটে এখনও গড়ায়নি। প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া তানভির ইসলাম তাই বাইরেই থাকবেন, যদি না শেষ সময়ে কোনো চোটাঘাতের ব্যাপার থাকে।
দুই পেসার নিয়ে খেললেও পেস আক্রমণে পরিবর্তন আসতে পারে একটি। সিলেটে আপন চেহারায় না থাকলেও হাসান মাহমুদের খেলা নিয়ে সংশয় আছে সামান্যই। দলের সবচেয়ে স্কিলফুল পেসার মনে করা হয় তাকে। তবে সৈয়দ খালেদ আহমেদের বদলে টেস্ট অভিষেক হতে পারে তানজিম হাসানের। নাহিদ রানার গতির অভাব তিনি পুষিয়ে দিতে পারবেন না বটে, তবে গতি তারও খারাপ নয়। গতি ও বাড়তি বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের চমকে দেওয়া, উইকেট শিকারের প্রবণতা তার আছে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কার্যকর হতে পারে তার বোলিং।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের একাদশে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়েসলি মাধেভেরে। এই দুজন থাকবেন চট্টগ্রামেও। শন উইলিয়ামসের বাঁহাতি স্পিন প্রয়োজন হয়নি সিলেটে। তবে যথেষ্টই কার্যকর স্পিনার তিনি। পেসার একজন কমিয়ে তারাও বাড়তি স্পিনার খেলাতে চাইলে স্কোয়াডে আছেন লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা।